প্রতীকী ছবি।
ছ’বছরের চেষ্টা। দুই বাংলায় ছড়িয়ে থাকা কিংবা সীমান্তে বসবাসকারী অন্তত ১০০০ মানুষের সঙ্গে সংযোগ। এই সবই উঠে এল বাংলা ভাগ-সংক্রান্ত একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল আর্কাইভ বা মহাফেজখানায়।
নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত বেঙ্গল পার্টিশন রিপোজ়িটরি নামের ওয়েবসাইটটির (www.bpr.cltcsnsou) শনিবার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করা হয়। এ দিনই সল্টলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দফতরের প্রেক্ষাগৃহে দেশভাগ-শীর্ষক বক্তৃতার পরে অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বর্তমানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে টানাপড়েনের পটভূমিতে এমন ওয়েবসাইটের বিশেষ গুরুত্ব। নাগরিকত্ব নিয়ে নানা ধারণা ইতিহাসপাঠ এবং মানবিধবোধের নিরিখে দেখাটা দরকার।’’
ওয়েবসাইটটিতে ঢুকতে সাধারণের নথিভুক্তিকরণ পক্রিয়া জারি হবে কাল, সোমবার থেকে। এই প্রকল্পের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববিদ্যা অনুষদের অধিকর্তা মননকুমার মণ্ডলের কথায়, ‘‘দুই বাংলার প্রান্তিক এলাকার বাসিন্দাদের স্মৃতিকথা, নানা পুস্তিকা, সাহিত্য-সংবাদের উপাদানকে জড়ো করা হয়েছে। দুই বাংলার ৫০ জন অধ্যাপক-পড়ুয়া-গবেষক কাজটিতে শরিক।’’ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়ায় কাজটা করা হয়েছে। সাহিত্যিক দেবেশ রায়, অমর মিত্র, বাংলাদেশের সম্পাদক-সাংবাদিক মাহফুজ় আনম, অধ্যাপক ফকরুল আলম প্রমুখ এ দিন দু’দেশের সম্পর্কের নানা টানাপড়েনের কথা তুলে ধরেন।