তৈরি হচ্ছে কনভেনশন সেন্টার। —নিজস্ব চিত্র।
ভিআইপি লাউঞ্জ, সুইমিংপুল, রেস্তরাঁ থেকে এক হাজার আসনের প্রেক্ষাগৃহ। সঙ্গে সাজানো বাগান, প্রদর্শশালা ও আলোচনাকক্ষ। পর্যটকদের জন্য এই সব আয়োজন এ বার সৈকত সুন্দরী দিঘায়।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে খবর, রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে পর্ষদের পাঁচ একর জায়গায় তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ‘কনভেনশন সেন্টার’। নিউ দিঘায় পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা সীমানাবর্তী এলাকায় এই সেন্টার তৈরির জন্য ৭০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা খরচ ধার্য হয়েছে। সেন্টার তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসেই সেন্টারটি চালু হতে পারে। পর্ষদের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো নতুন বছরের শুরুতেই যাতে পর্যটকদের এই সেন্টার উপহার দেওয়া যায়, সে জন্য ২০ জন ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতিতে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ এগোচ্ছে।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, “পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই কনভেনশন সেন্টারটি বানানো হচ্ছে।’’ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পরিচালন কমিটির সদস্য দেবব্রত দাসের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী দিঘাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে স্থান করে দিতে চান। তাই দিঘার বিভিন্ন পরিষেবাকে আরও উন্নত করার দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’’ তবে এই সেন্টারে থাকতে হলে অনলাইন বুকিং না কি স্পট বুকিং হবে, কত ভাড়া লাগবে— সে সব নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এই কনভেনশন সেন্টারের এক কিলোমিটারের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নতুন প্রশাসনিক ভবন। জাহাজের আদলে তৈরি ওই ভবনেও থাকছে বিনোদনের নানা আয়োজন। জাহাজ বাড়িতে শপিং সেন্টার, অডিটোরিয়াম, থিয়েটার হল তৈরি হচ্ছে। এই ভবনটিরও আগামী বছরের গোড়ায় উদ্বোধন হওয়ার কথা।
এমন সব আয়োজন খুশি সাগরপ্রেমীরাও। নদিয়া থেকে বেড়াতে আসা সুমিত রায় বলছিলেন, “দিঘায় পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের সুযোগ অনেক বাড়ছে। এটা খুবই আনন্দের বিষয়।’’