রাজ্যের রেড, গ্রিন, অরেঞ্জ জেলা।
গ্রিন জোনে পাড়ার ছোট দোকানকে ব্যবসায় ছাড় দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী সোমবার থেকে এই নিময় চালু হতে চলেছে। তবে রেড জোনে যে জেলাগুলো রয়েছে, সেখানে এই নিয়ম কার্যকর হবে না। ‘কনটেন্টমেন্ট জোনে’ও সম্পূর্ণ লকডাউন লাগু থাকবে। সেখানে কোনও নিয়মের পরিবর্তন হচ্ছে না। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর রেড জোনে রয়েছে। রাজ্যের তরফে এই জেলাগুলির বেশ কিছু জায়গাকে ‘কনটেন্টমেন্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রেড জোনে কী ভাবে নিয়ম কার্যকর হবে, সচিব পর্যায়ে বৈঠক এবং পুলিশ-প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
গ্রিন জোনের জেলাগুলোতে বাস চলবে বলেও এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেইবাস কোনও ভাবেই জেলার বাইরে যেতে পারবে না। পরিবহণ দফতরের অনুমোদন আছে যে সমস্ত বাসমালিকের, তাঁরা ওই সব জেলায় বাস চালাতে পারবেন। তবে ওই বাসে ২০ জনের বেশি উঠতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, গ্রিন জোনেও সেলুন এখনই খুলছে না। মু্খ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে গ্রিন জোনে থাকা জেলাগুলিতে। পাড়ার ছোট দোকানগুলি খোলা যাবে। তবে মার্কেট কমপ্লেক্স অথবা ফুটপাতের দোকান খোলা যাবে না। গ্রিন জোনে পরিস্থিতি খারাপ হলে, সিদ্ধান্ত বদল হতে পারে যে কোনও সময়ে।”
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক, পডু়য়াদের ঘরে ফেরায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের
গ্রাফিক: তিসায়া দাস।
তবে রেড এবং অরেঞ্জ জোন নিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “কলকাতার ক্ষেত্রে হোম ট্যাক্সি চালু করা হবে। তবে, পুলিশ সেটা বুঝেশুনে ব্যবস্থা নেবে। কনটেন্টমেন্ট জোনে টোটাল লকডাউন থাকবে।সেখানে যে ভাবে কাজ হচ্ছে, সে ভাবেই চলবে।’’
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ ১৮১৩ জনের, মোট আক্রান্ত ৩১৭৮৭