প্রশ্নে মুখে তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। প্রতীকী ছবি।
‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে নানা প্রশ্নে পড়তেই হচ্ছে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের। পুরুলিয়ার মানবাজারের বিধায়ক তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু মঙ্গলবার মানবাজারের ধানাড়া পঞ্চায়েতের পিড়রগড়িয়া গ্রামে গেলে, কিছু বাসিন্দা প্রশ্ন করেন, এত দিন পরে কেন এলাকায় এলেন? সন্ধ্যারানির দাবি, বিরোধীরা পরিকল্পিত ভাবে এ কাজ করিয়েছে। কোচবিহারের দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়িতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া কিছু বাসিন্দার ক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, সাত বছর আগে বিধায়ক পানীয় জল ও রাস্তার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন, এখনও তা হয়নি। বিধায়ক সংশ্লিষ্ট দফতরে ফোন করে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।
রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী গিয়েছিলেন কমলাবাড়ি ২ পঞ্চায়েতে। অভিযোগ, সেখানকার খাদিমপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া বেশ কিছু পোস্টার ছিঁড়ে দেয় বিজেপি। যদিও বিজেপি তা মানেনি। গোয়ালপোখরের ধরমপুরে গিয়ে তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের চেয়ারম্যান সচিন সিংহরায় আবাস ও সরকারি ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ শোনেন। এর আগে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ক্ষোভের মুখে পড়েন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। মঙ্গলবার তিনি যান পাশের কেন্দ্র, বনগাঁ উত্তরে। সেখানকার বিধায়ক বিজেপির অশোক কীর্তনিয়া। এ দিন অনুন্নয়ন নিয়ে অভিযোগ শুনতে হয় বিশ্বজিৎকে। অশোকের দাবি, ‘‘বিশ্বজিৎ দশ বছর এখানে বিধায়ক ছিলেন। আমি দেড় বছর বিধায়ক হয়েছি।’’ বিশ্বজিতের বক্তব্য, ‘‘আমি বহু সমস্যা মিটিয়েছিলাম। গত দেড় বছরে কোনও কাজ হয়নি।’’ নৈহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও আমডাঙার বিধায়ক রফিকার রহমান এ দিন আদহাটা বালিকা বিদ্যালয়ে গেলে জল, শৌচালয়-সহ নানা সমস্যার অভিযোগ করা হয়। রাস্তায় বেরিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ছেন বিরোধীরাও। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহারকে সোমবার সন্ধ্যায় এক টোটো চালক বেহাল রাস্তা নিয়ে অভিযোগ করেন। বিধায়কের যদিও দাবি, রাস্তাটি পাশের বিধানসভার অধীনে।