Didir Doot

দূতদের ঘিরে ক্ষোভ আসলে আশীর্বাদ, মত অভিষেকের

অভিষেক মন্তব্য করেন, ‘‘মানুষ যাদের দেখে, তার উপরেই ক্ষোভ উগরাবে। বিজেপির সাংসদদের এলাকায় দেখা যায় না। আমরা মানুষের দ্বারা নির্বাচিত। তাই মানুষের কাছে যাচ্ছি।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৪
Share:

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

‘দিদির দূতদের’ ঘিরে মানুষের ক্ষোভ আসলে তৃণমূলের প্রতি মানুষের আশীর্বাদ। এমনই ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে জানালেন, তিনি নিজেও দলের এই কর্মসূচিতে শামিল হবেন।

Advertisement

শনিবার নিজের সংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবারে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মানুষ যাদের দেখে, তার উপরেই ক্ষোভ উগরাবে। বিজেপির সাংসদদের এলাকায় দেখা যায় না। আমরা মানুষের দ্বারা নির্বাচিত। তাই মানুষের কাছে যাচ্ছি। মানুষের ক্ষোভ আমাদের আশীর্বাদ।’’ দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘কেউ বিচলিত হবেন না, উপেক্ষা করুন। আমি নিজেও ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ করব। আমরা ভোটের সময় ভোট পাখি হয়ে আসিনি।’’ এই কর্মসূচি নিয়ে অবশ্য বিঁধেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘ওটা দূত নয়, ভূত। মানুষ ওদের মানছে না। সুযোগ পেলে পাল্টে দেবে।’’

এ দিন এই কর্মসূচিতে বেরিয়ে কোচবিহারের শহিদ বন্দনা স্মৃতি মহিলা হোমের গেট থেকে ফিরতে হয়েছে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মণকে। বাবুরহাটে সমাজকল্যাণ দফতরের ওই হোমে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ঢুকতে চান সভাধিপতি। অভিযোগ, দীর্ঘ অপেক্ষার পরে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি। উমাকান্ত বলেন, “পরিচয় দেওয়ার পরেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছি। শেষ পর্যন্ত নিজেই ফিরে এসেছি।” পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জুড়ছেন, “কোথায় কী সমস্যা জানতেই যাওয়া। সেটাই হল না। বিষয়টি জেলাশাসককে জানাব। সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকেও বিষয়টি জানাব। কোনও খামতি আড়াল করতে ঢুকতে দেওয়া হল না কি না দেখা দরকার।” প্রশাসন ও হোম সূত্রে যদিও দাবি, সুপার বাইরে ছিলেন। কর্তব্যরত কর্মী ওই দু’জনকে চিনতে না পারায় সমস্যা হয়েছে।

Advertisement

একই কর্মসূচিতে বেরিয়ে দিনহাটা ভিলেজ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এ দিন স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। সেখানে ওষুধ সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ জানান কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্মী। স্থায়ী ঘরের সমস্যার কথাও জানানো হয়। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিষয়টি জানিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement