ধর্নায় সঞ্জিত রায়। —নিজস্ব চিত্র।
ছ’বছরের সম্পর্ক। তার পরেও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি নয় প্রেমিকার পরিবার। বরং প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে তারা। এই অভিযোগ তুলে প্রেমিকাকে বিয়ের দাবি জানিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন এক যুবক। সোমবার তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও প্রেমিকা এবং তাঁর ছবি নিয়ে ঠায় বসে ছিলেন তিনি।
ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ঠান্ডু রায়ের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন সঞ্জিত রায় নামে এক যুবক। হাতে রয়েছে ঠান্ডুর মেয়ে লক্ষ্মীর সঙ্গে তাঁর একটি ছবি। সঞ্জিতের দাবি, প্রায় ছ’বছর ধরে লক্ষ্মীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। এখনও নিয়মিত কথাবার্তা হয় তাঁদের। তবে সম্প্রতি লক্ষ্মীর অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে তাঁর পরিবার। এর পরেই লক্ষ্মী তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে বলেন সঞ্জিতকে। পাত্রের পরিবারের তরফে লক্ষ্মীর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয় বলেও দাবি। এর পরেই লক্ষ্মীদের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন সঞ্জিত।
প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিয়ের দাবিতে নাছোড় সঞ্জিত। —নিজস্ব চিত্র।
লক্ষ্মীদের পাশের গ্রাম বারোঘরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সঞ্জিত সোমবার দুপুর থেকেই ধর্নায় বসেছেন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও অনড়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিয়ের দাবিতে নাছোড় সঞ্জিত। তাঁর এ হেন কীর্তির খবর পেয়ে শ’য়ে শ’য়ে মানুষের ভিড় জমতে শুরু করেছে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। সমস্যা সমাধানের জন্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং সঞ্জিতের গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকেও নিয়ে শুরু হয়েছে বৈঠক। যদিও লক্ষ্মীর বাবা ঠান্ডুর দাবি, ‘‘আমার বাড়ির সামনে আচমকাই ধর্নায় বসেছে এক যুবক। মেয়ের যে ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার বড় ছেলে ওই যুবককে চলে যেতে বললেও সে যায়নি। যদি লক্ষ্মীকে বিয়ে করতে চায়, আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে তাঁর সঙ্গে পরিবারের কোন সম্পর্ক থাকবে না!’’
এই বিষয়ে লক্ষ্মীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁর মা লেখার অযোগ্য মন্তব্য করে সংবাদমাধ্যমকে বার করে দেন বলে অভিযোগ।