শপথগ্রহণের পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে ধূপগুডির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। —নিজস্ব চিত্র।
গত শনিবার থেকে জটিলতা চলছিল। আট দিনের মাথায় শনিবার সেই জট কাটল। অবশেষে বিধায়ক হিসাবে শপথ নিলেন ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। রাজভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শপথ ঘিরে বিধানসভার সঙ্গে রাজভবনের যে সংঘাত চলেছে, তার ফলশ্রুতিতেই শনিবারের শপথ অনুষ্ঠানে ছিলেন না স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, স্পিকার এবং পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় রাজভবনে যাবেন না। শনিবার তাঁরা কেউ ছিলেন না। কেবল বিধানসভায় শাসকদলের উপমুখ্যসচেতক তাপস রায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।
রাজ্যপাল গত শনিবার বিকালে শপথের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু বিধানসভার তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়, এ ভাবে শপথগ্রহণ করানো যায় না। সে দিন তাই কিছুই হয়নি। তার পর রাজ্যপাল ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি শপথগ্রহণ করাতে বলেন। কিন্তু তা-ও হয়নি। পাল্টা চিঠি দিয়ে রাজ্যপালের উদ্দেশে স্পিকার বলেছিলেন, ‘‘আপনিই শপথগ্রহণ করান। কিন্তু সেটা বিধানসভায় অনুষ্ঠিত হোক।’’
শনিবার শপথের পর রাজবংশী সমাজের প্রতীক হলুদ-সবুজ উত্তরীয় (খাদা) রাজ্যপালকে পরিয়ে দেন বিধায়ক নির্মল। রাজ্যপাল তাঁকে নিজের লেখা একটি বই দেন। তবে এ ভাবে একজন বিধায়কের রাজভবনে শপথ বাংলার সংসদীয় গণতন্ত্রে নজিরবিহীন বলেই মত অনেকের।
২০২১ সালের ভোটে ধূপগুড়ি জিতেছিল বিজেপি। বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর কারণে উপনির্বাচন হয় সেখানে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ছিল ভোটগ্রহণ। ৮ তারিখ ফল ঘোষণার পর দেখা যায় বিজেপির হাত থেকে রাজবংশী অধ্যুষিত আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। জয়ের ২২ দিনের মাথায় শপথ নিলেন ইতিহাসের অধ্যাপক নির্মল।