দাঁতনে দাঁড়াবে ধৌলি এক্সপ্রেস

এ বার দাঁতন স্টেশনেও থামবে হাওড়া-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেস। আগামী ২৫ মার্চ থেকে আগামী ছ’মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিদিন আপ ও ডাউন ধৌলি এক্সপ্রেস দাঁতন স্টেশনে থামবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০১:৩৬
Share:

প্রস্তুত: দাঁতন স্টেশন। নিজস্ব চিত্র

এ বার দাঁতন স্টেশনেও থামবে হাওড়া-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেস। আগামী ২৫ মার্চ থেকে আগামী ছ’মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিদিন আপ ও ডাউন ধৌলি এক্সপ্রেস দাঁতন স্টেশনে থামবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। দাঁতন স্টেশনে ধৌলি এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়ার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি দাঁতনের বাসিন্দারা।

Advertisement

খড়্গপুরে রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “দাঁতনে ধৌলি এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়ার আবেদন ছিল। সেই আবেদন আমরা রেলবোর্ডে পাঠিয়েছিলাম। এ ছাড়াও সাংসদ, মন্ত্রীরাও আবেদন জানিয়েছিলেন। রেল মন্ত্রক থেকে শুক্রবার আমাদের জানানো হয়, দাঁতনে থামবে ধৌলি এক্সপ্রেস।’’

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৫ মার্চ থেকে হাওড়া থেকে পুরীগামী ধৌলি এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে দাঁতন স্টেশনে থামবে। পুরী থেকে হাওড়াগামী ধৌলি এক্সপ্রেস বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে দাঁতনে থামবে। দু’বারই দু’মিনিট করে দাঁতন স্টেশনে দাঁড়াবে এই ট্রেন।

Advertisement

দাঁতন-১, দাঁতন-২ ও মোহনপুর ব্লকের প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ দাঁতন স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন দাঁতন স্টেশনে দিনে অসংরক্ষিত আসনের টিকিট বিক্রি করে গড়ে ২০ হাজার টাকা আয় হয়। যাতায়াত করেন প্রায় ২০ হাজার যাত্রী। আর সংরক্ষিত আসনের টিকিটে বিক্রি করে দিনে আয় হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা।

চিকিৎসার প্রয়োজনেও দাঁতনের বহু লোক ওড়িশা ও দক্ষিণ ভারতে যাতায়াত করে। দাঁতন স্টেশনে থামে জলেশ্বর-হাওড়া লোকাল, ভদ্রক-হাওড়া বাঘাযতীন প্যাসেঞ্জার, খুরদা রোড-খড়্গপুর প্যাসেঞ্জার ও জাজপুর-সাঁতরাগাছি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। তবে এতদিন ওড়িশাগামী কোনও দূরপাল্লার ট্রেন দাঁতন স্টেশনে না থামায় সমস্যায় পড়তেন স্থানীয়রা। তাই দাঁতনে ধৌলি এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়ার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।

দাঁতন স্টেশনে ধৌলি এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়ার খবর পেয়ে খুশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দাঁতন শাখার আধিকারিক হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা দেবাশিস বসু। তিনি বলেন, “এতদিন প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বেলদা স্টেশনে গিয়ে ধৌলি এক্সপ্রেসে উঠে বাড়ি ফিরতাম। এ বার দাঁতন থেকেই যাতায়াত করতে পারব ভেবে ভাল লাগছে।”

দাঁতনের ব্যবসায়ী সমিতি সহ-সম্পাদক সঞ্জীব পুজারে বলেন, “ধৌলি এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়ার জন্য বহু লড়াই করেছি। মেদিনীপুরের সাংসদ সন্ধ্যা রায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়াও এ বিষয়ে রেলমন্ত্রকে জানিয়েছিলেন। আমার বিশ্বাস, ছ’মাস পরেও দাঁতনে এই ট্রেন দাঁড় করানোরই সিদ্ধান্ত নেবে রেল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement