বিধানসভা নির্বাচন যত কাছে আসছে, বিজেপি এবং তৃণমূলের ‘বোঝাপড়া’ নিয়ে সরব হয়ে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে ততই তৎপর হচ্ছে বামেরা। সংসদে কেন্দ্র ও রাজ্যের ‘বোঝাপড়া’ নিয়ে এত দিন বার বার অভিযোগ তুলেছে তারা। এ বার ২ সেপ্টেম্বরের ধর্মঘটের বিরোধিতা করা নিয়েও দু’পক্ষকে এক বন্ধনীতে এনে আক্রমণ শানাল তারা।
ধর্মঘটের সমর্থনে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে তিন দিনের ধর্না-অবস্থানের শেষ লগ্নে বুধবার সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। অন্যান্য দলের শ্রমিক সংগঠন আমাদের সঙ্গে থাকলেও তৃণমূলের সংগঠন আইএনটিটিইউসি নেই। দিল্লিতে মোদী-সরকার এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করবে। আর রাজ্যে তৃণমূল।’’ নাম না করে তৃণমূল-বিজেপি’কে ‘দু-মুখো সাপ’ বলে কটাক্ষ করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘দু-মুখো সাপের কথা আপনারা জানেন। একটা সাপের দু’টো মুখ হয় না। দু’টো সাপ পরস্পরকে এমন ভাবে জড়িয়ে রাখে যে দেখে মনে হয় দু’মুখো সাপ।’’ মোদীভাই আর দিদিভাইয়ের দিকে ইঙ্গিত করে সেলিমের মন্তব্য, ‘‘এরা একসঙ্গে জড়িয়ে থাকা দু’মুখো সাপ। ধর্মঘটের বিরোধিতা থেকে দুর্নীতি, সব ব্যাপারেই তারা ভাই ভাই!’’
বিরোধী নেত্রী থাকার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে বারবার পথে নেমেছেন, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সেলিম বলেন, ‘‘মোদী সরকারের আমলে জিনিসের দাম, বিশেষ করে খাবারের দাম এত বেড়েছে, যে মানুষ খাবে কী! কিন্তু উনি তো এক বারও মিছিল করছেন না! বরং, উৎসব করছেন।’’ সিপিএমের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের অবস্থা যতই খারাপ হোক, মোদী এবং মমতা দু’জনেই ‘আচ্ছে দিনে’র ভেলায় ভাসছেন। অন্য বাম নেতারাও প্রকারন্তরে মোদী-মমতার বোঝাপড়ার অভিযোগ তুলেছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর কথার সূত্র ধরে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর মন্তব্য, ‘‘উনি বলেছেন, আমরা প্রাসঙ্গিক থাকতে এখানে অবস্থান করছি। উনিও তো ধর্মতলায় অবস্থান করেছিলেন। সেটাও কি প্রসঙ্গিক থাকতেই করেছিলেন?’’