প্রতীকী ছবি।
ধনেখালি খুন-কাণ্ডে নিহত সনাতন মালের স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনায় আগেই সনাতনের স্ত্রী চাঁপা মালের ‘প্রেমিক’ বেচারাম মালিককে গ্রেফতার করেছে ধনেখালি থানার পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, সনাতনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবার ছক কষেন চাঁপা। এই পরিকল্পনায় প্রেমিক বেচারামকেও শামিল করেছিলেন তিনি। যাতে কোনও ভাবেই তাঁর পরিকল্পনা ভেস্তে না যায়।
প্রসঙ্গত, ২৯ এপ্রিল হুগলির ধনেখালির ভান্ডারহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেউলপাড়া এলাকার একটি কুয়ো থেকে এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানতে পারে, সেটি জাঙ্গিপাড়া থানার এলাকার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা সনাতন মালের দেহ। এর পরই তদন্তে নামে পুলিশ। তাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সনাতনের স্ত্রী চাঁপার সঙ্গে বেচারামের পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানা যায় বলে দাবি পুলিশের। সনাতনকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন বেচারাম। তাঁকে সাত দিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত সামগ্রী উদ্ধার করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, ২৮ এপ্রিল, অর্থাৎ যে দিন সনাতনকে খুন করা হয়, সে দিন সকালে চাঁপাকে বাসে করে জাঙ্গিপাড়া পাঠিয়ে দেন বেচারাম। তার পর সনাতনকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মদ্যপ করে তাঁর মাথায় হাতুড়ি মেরে ও গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেন তিনি। এর পর দেহ ফেলে রাখেন নিজের ঘরে। রাত বাড়লে সনাতনের দেহ বস্তায় ভরে একটি কুয়োয় ফেলে দিয়ে আসেন।
তদন্তকারীদের আরও দাবি, খুন করার পর চাঁপাকে ফোন করে সব কথা জানান বেচারাম। চাঁপা যাতে এ নিয়ে মুখ না খোলেন, তা-ও নির্দেশ দেন। তবে পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সব স্বীকার করেন চাঁপা।