সিভিক পুলিশকে জংলা পোশাক, কমিশনে অভিযোগ সিপিএমের

সিভিক পুলিশে কর্মরত যুবকদের জংলা পোশাক বিলিকে কেন্দ্র করে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল সিপিএম। শুক্রবার বিকেলে এবং শনিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার এসডিপিও অফিস থেকেই মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকায় সিভিক পুলিশ হিসেবে কাজ করা জনা পঞ্চাশেক যুবকের হাতে ওই পোশাক তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৪ ০১:৫৭
Share:

জংলা পোশাকে সিভিক পুলিশ। ডায়মন্ড হারবারে। —নিজস্ব চিত্র।

সিভিক পুলিশে কর্মরত যুবকদের জংলা পোশাক বিলিকে কেন্দ্র করে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল সিপিএম।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে এবং শনিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার এসডিপিও অফিস থেকেই মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকায় সিভিক পুলিশ হিসেবে কাজ করা জনা পঞ্চাশেক যুবকের হাতে ওই পোশাক তুলে দেওয়া হয়। ওই পোশাক

সাধারণত সামরিক বাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী বা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা ব্যবহার করেন। যে যুবকদের হাতে এ দিন ওই পোশাক তুলে দেওয়া হয়, তাঁরা এত দিন হালকা সবুজ রঙের পোশাক পরে সিভিক পুলিশের কাজ করছিলেন।

Advertisement

ভোটের সময়ে এ ভাবে জংলা পোশাক বিলি নিয়ে আপত্তি তুুলেছে সিপিএম। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরাই সিভিক পুলিশে কাজ পেয়েছেন। ওই পোশাক পরে ভোটের সময়ে তাঁরা ভোটারদের ভয় দেখাতে বা রিগিং করতে পারেন বলে আশঙ্কা। সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, “পুলিশের পক্ষ থেকে ওই পোশাক বিলি ঠিক হয়নি। তা পরে ভোটে সিভিক পুলিশে কাজ করা যুবকেরা ভোটদাতাদের প্রভাবিত করতে পারেন। তাই কমিশনকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ডায়মন্ড হারবার মহকুমা পুলিশ সূত্রের দাবি, জেলা পুলিশের কার্যালয় থেকেই ওই জংলা পোশাক পাঠানো হয় সিভিক পুলিশে কর্মরতদের জন্য। এ দিন ওই পোশাক পরে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ‘ডিউটি’তেও যান। তবে, এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি এসডিপিও (ডায়মন্ড হারবার) রূপান্তর সেনগুপ্ত। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, জেলার সব জায়গায় সিভিক পুলিশকে ওই পোশাক দেওয়া হচ্ছে। তবে, তা নির্বাচনী বিধির আওতায় পড়ছে কি না, তা দেখা হচ্ছে। এসপি প্রবীণ ত্রিপাঠী এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে, এ ভাবে “ক্যামোফ্লেজ পোশাক’ পুরোদস্তুর রাজ্য পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া কাউকে দেওয়ার নিয়ম নেই বলে জানান রাজ্য পুলিশের এক কর্তা।

ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার বলেন, “পুলিশ কেন ওই পোশাক বিলি করেছে, তা পুলিশই বলতে পারবে। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।”

দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “এ বিষয়ে কিছু বলব না।” তবে জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ছাড়া ‘ক্যামোফ্লেজ’ পোশাক কাউকে দেওয়া যায় না। সিভিক পুলিশের কেউ জংলা ইউনিফর্ম পরলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের ১৭১ এবং ৪১৯ ধারায় মামলা করা যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement