শিক্ষিকাকে হুমকি, অভিযুক্ত সেই আরাবুল

কলেজে শিক্ষিকাকে জগ ছুড়ে মারায় অভিযুক্ত আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ বার পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষিকাকে গালি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের নারায়ণপুর হাইস্কুলে ঢুকে স্থানীয় এই তৃণমূল নেতাকে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখে প্রতিবাদ করেন ‘সেন্টার ইন-চার্জ’। তাতেই আরাবুল ওই শিক্ষিকাকে গালিগালাজ করেন এবং হুমকিও দেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৪ ০৩:২৫
Share:

কলেজে শিক্ষিকাকে জগ ছুড়ে মারায় অভিযুক্ত আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ বার পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষিকাকে গালি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের নারায়ণপুর হাইস্কুলে ঢুকে স্থানীয় এই তৃণমূল নেতাকে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখে প্রতিবাদ করেন ‘সেন্টার ইন-চার্জ’। তাতেই আরাবুল ওই শিক্ষিকাকে গালিগালাজ করেন এবং হুমকিও দেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

যদিও শুক্রবার রাত পর্যন্ত এ নিয়ে অভিযোগ হয়নি। আরাবুলের দাবি, “ওই সেন্টার ইনচার্জ আমার নামে মিথ্যা দোষারোপ করেছেন। আমার সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। পরীক্ষাকেন্দ্রে সব ব্যবস্থা ঠিকঠাক আছে কি না দেখতেই গিয়েছিলাম।” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আরাবুল এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের সঙ্গে কথা বলেছি। আরাবুল বলেছেন, তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রে যাননি। এবং সংসদ সভাপতিও বলেছেন, তিনি কোনও তরফ থেকেই এমন অভিযোগ পাননি। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।”

শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। নারায়ণপুর হাইস্কুলে সিট পড়েছে আশপাশের দু’তিনটি স্কুলের। পরীক্ষা শুরুর কিছু পরে ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল আর এক তৃণমূল নেতা মনিরুল ইসলামকে সঙ্গে করে ওই স্কুলে ঢোকেন। অভিযোগ, পরীক্ষার্থীদের ঘরে ঢুকে আরাবুল তাদের নির্ভয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি, কোনও উত্তর লিখতে না পারলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জিজ্ঞাসা করার পরামর্শ দেন এবং অভয় দেন, শিক্ষক-শিক্ষিকারা সব বলে দেবেন। এই ভাবে আরাবুলরা একের পর এক ঘরে ঘুরতে থাকেন। তা দেখে শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রতিবাদ করলেও তিনি শোনেননি বলে অভিযোগ।

Advertisement

ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের ‘সেন্টার ইনচার্জ’ তথা বোদরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গোপা রায়ের অভিযোগ, “আরাবুল সাহেবরা কাউকে কিছু না বলে স্কুলে ঢুকে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এক পরীক্ষার্থী হল থেকে বেরিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলছিল। আমি ওই ছাত্রের কাছে বাইরে আসার কারণ জানতে চাইলে আরাবুল সাহেব আমাকে হুমকি দেন। গালিগালাজ করেন।” গোপাদেবী জানান, তিনি আরাবুলদের কাছে হলে ঢোকার কারণ জানতে চান। তাঁর দাবি, “আরাবুল সাহেবরা জানান, তাঁরা শৌচাগার ব্যবহারের জন্য স্কুলে ঢুকেছেন।”

পরীক্ষা চলাকালীন বহিরাগত কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না, এমনটাই নিয়ম বলে জানান উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক কর্তা তা সত্ত্বেও আরাবুল যে ভাবে ওই স্কুলে ঢুকেছিলেন, তা নিয়মবহির্ভূত বলে মেনে নিয়ে গোপাদেবী বলেন, “গোটা বিষয়টি নিয়ে আমি আমাদের দফতর এবং থানাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। লিখিত ভাবে জানানোর বিষয়টি ভাবনাচিন্তা করছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement