মেধা-তালিকায় আরামবাগের দুই পড়ুয়ার স্থান

মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিল আরামবাগ থেকে। এ বার জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় মেডিক্যালে ষষ্ঠ ও অষ্টম স্থান দখল করল আরামবাগের দুই পড়ুয়া হিমগ্ন মান্না ও দেবকান্ত পাল। এ বছর আরামবাগ বয়েজ হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে হিমগ্ন পেয়েছিল ৪৫৬।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৪ ০১:১৭
Share:

পরীক্ষার ফল জানার পরে হিমগ্ন। —নিজস্ব চিত্র।

মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিল আরামবাগ থেকে। এ বার জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় মেডিক্যালে ষষ্ঠ ও অষ্টম স্থান দখল করল আরামবাগের দুই পড়ুয়া হিমগ্ন মান্না ও দেবকান্ত পাল। এ বছর আরামবাগ বয়েজ হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে হিমগ্ন পেয়েছিল ৪৫৬। ইচ্ছা ছিস কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করবে। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই স্কুলে প্রথম হয়ে আসছে আরামবাগ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই ছাত্র। বাবা দেবজ্যোতি মান্না পেশায় চিকিৎসক। নিজের একটি প্যাথলজি কেন্দ্র রয়েছে। মা কাবেরী মান্না গৃহবধূ। নিজের সাফল্যের কেন্দ্রে কলকাতার একটি কোচিং সেন্টার ও স্কুলের ও গৃহশিক্ষকের অবদানের কথা জানিয়েছে সে। এছাড়াও অনলাইনে নানা পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে তৈরি করেছে বলে জানায় হিমগ্ন। নিজে ক্রিকেট খেলতে না পারলেও ক্রিকেট দেখতে ভালবাসে সে। বলে, “উচ্চ মাধ্যমিকে আশানুরূপ ফল করতে না পেরে খানিকটা খারাপ লাগা ছিল। এখন অনেক হাল্কা লাগছে।”

Advertisement

আরামবাগের কালিপুরের বাসিন্দা দেবকান্ত পাল এ বার মেডিক্যালে অষ্টম হয়েছে। গত বছর সে উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করতে না পেরে কিছুটা মুষড়ে পড়েছিল সে। জয়েন্টেও তেমন ভাল ফল করতে পারেনি। দেবকান্তর বাবা দীপঙ্কর পাল পেশায় ব্যবসায়ী। মা সান্ত্বনা পাল গৃহবধূ। দীপঙ্করবাবু বললেন, “তখন থেকেই ছেলের জেদ ছিল, পরের বারের জয়েন্টে ভাল রেজাল্ট করবেই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে কলেজে ভর্তি না হয়ে জয়েন্টের জন্যই তৈরি হয়।” রেজাল্ট যখন বেরোচ্ছে, দেবকান্ত তখন কলকাতায়। সেখানেই একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে নিয়মিত কোচিং নিত সে। তৈরি হচ্ছে সর্বভারতীয় পরীক্ষার জন্য। দেবকান্তের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে জানায়, এইমসের প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে সে। সেখানে ফল ভাল না হলে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজেই পড়াশোনা করবে সে। আরামবাগ বয়েজ হাই স্কুলের দুই ছাত্রের এমন সাফল্যে খুশি স্কুলের শিক্ষকেরা। প্রধান শিক্ষক অশোক বৈরাগী বলেন, “দুই ছাত্রকে নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে আমাদের অনেক আশা ছিল। কিন্তু তেমন ভাল রেজাল্ট না হওয়ায় হতাশ হয়েছিলাম। সেই ঘাটতি আজ পূরণ করে দিয়েছে আমাদের এই দুই ছাত্র।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement