কাজের লোভ দেখিয়ে পাচারের জন্য অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে আনা হয়েছিল বছর তেরোর এক কিশোরীকে। দুই বাংলাদেশি দুষ্কতী মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছে মেয়েটি। তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে।
বিএসএফ সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার জওয়ানেরা টহল দিচ্ছিলেন বনগাঁর ঘোনার মাঠ সীমান্তে। ইছামতীর পাড়ে কয়েক জনকে দেখতে পান তাঁরা। তাড়া করলে পালায় দুই বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। তাদের সঙ্গে ছিল ওই কিশোরী। জওয়ানেরা তাকে উদ্ধার করেন। মেয়েটি জানায়, বাংলাদেশের নোয়াখালিতে তার বাড়ি। বাবা-মা নেই। পরিচিত কয়েক জন তাকে কাজ দেবে বলে নৌকোয় চাপিয়ে সীমান্তের এ পাড়ে নিয়ে আসে। নৌকোয় আরও দুই যাত্রীর সঙ্গে তাদের কথাবার্তা হয়। মেয়েটিকে যারা সঙ্গে করে আনছিল, তারা ওই দু’জনকে পুলিশ মনে করে গা-ঢাকা দেয়। সদ্য পরিচিত দুই বাংলাদেশির সঙ্গে মেয়েটি ইছামতীর পাড়ে নামে। বিএসএফ কর্তাদের একাংশের অনুমান, পাচারের উদ্দেশেই আনা হয়েছিল মেয়েটিকে। তাকে সেখানে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কর্তব্যরত জওয়ানদের চোখে পড়ে যাওয়ায় উদ্ধার পায় মেয়েটি। ডেকে আনা হয় বিএসএফের দুই মহিলা জওয়ানকে।
বিএসএফ সূত্রের খবর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সঙ্গে বুধবার ফ্ল্যাগ মিটিং হয় আংরাইল সীমান্তের এ পারে। ওই দিনই মেয়েটিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তার নিজের দেশে।
বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেবা মণ্ডল জানান, কালুপুর পঞ্চায়েতের সদস্য অরুণ বিশ্বাসের বাড়িতে রাখা হয়েছিল মেয়েটিকে। কোথায়, কী কাজ দেওয়া হবে বলে আনা হচ্ছিল মেয়েটিকে, তার বিন্দুবিসর্গও জানত না সে। স্থানীয় সূত্রের খবর, সীমান্তের এই এলাকায় নারীপাচার চক্র খুবই সক্রিয়। বাংলাদেশ থেকে এই পথে মেয়েদের এনে বিক্রি করে দেওয়া হয় দেশের নানা প্রান্তের যৌনপল্লিতে। তার আগে বাংলাদেশি দালালেরা হামেশাই মেয়েদের ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই মেয়েটিকেও সেই চেষ্টাই করেছিল দুষ্কৃতীরা। কয়েক মাস আগে ওই এলাকারই খেদাপাড়ায় বাংলাদেশি দুই বোনকে চোরাপথে এ দেশে এনে ধর্ষণ করে পালায় দুই দুষ্কৃতী।