তিনটি গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তর নিরাপত্তা বলয় হুগলিতে

গণানাকেন্দ্রে সিসিটিভি। সঙ্গে ত্রিস্তর নিরাপত্তা বলয়। ব্যাপক পুলিশি বন্দোবস্ত। প্রহর গোনা শেষ। আজ, শুক্রবার হুগলির তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে আধাসেনার পাশাপাশি রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ এবং জেলা পুলিশকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত ত্রি-স্তরীয় নিরাপত্তা বলয় দিয়ে জেলার তিনটি ভোটগণনা কেন্দ্রকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার হুগলির জেলাশাসক মনমীত নন্দা এবং পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী গণনা কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা-সহ অন্যান্য সব ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও পীযূষ নন্দী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৪ ০১:৪৫
Share:

সাজা হচ্ছে হুগলির গণনাকেন্দ্র। চুঁচুড়ায় প্রশাসনিক ভবনে ছবি তুলেছেন তাপস ঘোষ।

গণানাকেন্দ্রে সিসিটিভি। সঙ্গে ত্রিস্তর নিরাপত্তা বলয়। ব্যাপক পুলিশি বন্দোবস্ত।

Advertisement

প্রহর গোনা শেষ। আজ, শুক্রবার হুগলির তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে আধাসেনার পাশাপাশি রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ এবং জেলা পুলিশকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত ত্রি-স্তরীয় নিরাপত্তা বলয় দিয়ে জেলার তিনটি ভোটগণনা কেন্দ্রকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার হুগলির জেলাশাসক মনমীত নন্দা এবং পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী গণনা কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা-সহ অন্যান্য সব ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।

পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “গণনার কাজ সুষ্ঠু ভাবে শেষ করতে জেলা পুলিশ তৈরি। প্রস্তুতির কাজ শেষ। অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে পুলিশ তৈরি।”

Advertisement

হুগলিতে মোট তিনটি লোকসভা কেন্দ্র শ্রীরামপুর, হুগলি এবং আরামবাগ। শ্রীরামপুর কেন্দ্রের ভোটগণনা হবে শ্রীরামপুর কলেজে। হুগলির গণনা হবে চুঁচুড়ার নতুন প্রশাসনিক ভবনে এবং আরামবাগ কেন্দ্রের গণনা হবে আরামবাগ গার্লস কলেজে। প্রতিটি কাজ যাতে নিখুঁত হয়, তার জন্য কয়েকদিন ধরেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি গণনাকেন্দ্রের জন্য মোট দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। যে এলাকায় ভোটগণনা কেন্দ্র হয়েছে সেখানে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাশাপাশি, সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফল প্রকাশের পর রাজনৈতিক দলগুলি যাতে কোনও রকম সংঘর্ষে যাতে না জড়ায় তা ঠেকাতে পুলিশ প্রস্তুত। সকাল ৮টায় প্রথমে শুরু হবে পোস্টাল ব্যালট গোনার কাজ। সকাল সাড়ে আটটা থেকে ভোট মেশিনে গণনা শুরু হবে। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে সাধারণ মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেই জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা ভোটগণনা কেন্দ্রের কাজকর্ম সঠিক ভাবে হচ্ছে কি না তা নজরদারি করবেন।

শ্রীরামপুর কলেজে রয়েছে ‘স্ট্রং রুম’। গত ৩০ এপ্রিল ভোটের পর থেকে ‘স্ট্রং রুম’ প্রহরায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলেজের বাইরে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড। যাতে অতি উৎসাহী সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কোনও ভাবে গণনাকেন্দ্রের কাছাকাছি চলে আসতে না পারেন। বাইরে থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের প্রহরা। গণনাকেন্দ্র থাকছে ক্লোজ সার্কিট টিভি। গণনার জন্য থাকছে ৯৮টি টেবিল।

গণনাকেন্দ্রের সামনে কড়া পাহারায় জওয়ানেরা। ছবি: তাপস ঘোষ।

চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন জেলার নতুন প্রশাসনিক ভবনের এক থেকে তিনতলা পর্যন্ত প্রতিটিতে আলাদা আলাদা করে ভোটগণনার ব্যবস্থা থাকছে। মোট ১৪৯টি টেবিল থাকবে। প্রতিটিতে থাকবেন তিন জন করে গণনাকর্মী। প্রত্যেক প্রার্থীর একজন করে এজেন্টও থাকবেন।

ভোটের আগে-পরে রাজনৈতিক হানাহানিতে জেরবার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাই, ভোটের দিন কোনও রকম গোলমাল এড়াতে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন। তবু, হামলার আশঙ্কা যাচ্ছে না বিরোধীদের।

আরামবাগ কেন্দ্রের গণনা হবে আরামবাগ গার্লস কলেজে। সেখানে গণনার জন্য থাকছে ১০৯টি টেবিল। এখানেও থাকছে ত্রি-স্তর নিরাপত্তা বলয়। গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটার জুড়ে থাকছে ১৪৪ ধারা। সকাল ৭টার মধ্যে পরিচয়পত্র সহ ঢুকে পড়তে হবে গণনার সঙ্গে যুক্ত কর্মী এবং প্রতিনিধিদের। মহকুমাশাসক, এসডিপিও-র মতো তিন-চার জন আধিকারিক ছাড়া কারও কাছে মোবাইল ফোনও রাখা যাবে না। গাড়ি নিয়ে প্রবেশেও কড়া বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। শহর জুড়ে চলবে পুলিশ টহলদারি।

পুলিশ-প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার কথা বললেও বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, ভোট গণনার পরেই তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। হুমকির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement