নির্বাচনী প্রচারের জন্য ভাঙড়ে দলীয় পতাকা লাগাতে গিয়ে রবিবার আক্রান্ত হলেন তিন সিপিএম সমর্থক। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। জখম তিন জনকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পুলিশ সূত্রের খবর, হাটগাছি এলাকায় প্রচারে নেমেছিলেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন গাছে দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা হাজির হয়ে বিকেলে ওই এলাকায় তাদের কর্মিসভার কথা তুলে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে বচসা বাধে। এর পরেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বাঁশ নিয়ে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ।
যাদবপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী জখমদের দেখতে যান। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন। সুজনবাবু বলেন, “তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে। অকারণে ওরা আমাদের সমর্থকদের মারল। পুলিশ নিষ্ক্রিয়।” অভিযোগ উড়িয়ে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের দাবি, “ওই এলাকায় পতাকা লাগানোর জায়গা নেই। গাছে উঠে সিপিএম কর্মীরা পতাকা লাগাচ্ছিল। বেসামাল হয়ে মাটিতে পড়ে জখম হন। আমাদের কেউ ওঁদের মারেননি।” একই সঙ্গে আরাবুলের সংযোজন, “জখম সিপিএম সমর্থকদের আমাদের কর্মীরাই চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। আমরা সন্ত্রাস-বিরোধী।”