ছাত্রীর দাদার মারে চোখ ফেটে গেল যুবকের, অভিযোগ

এক মাস ধরে অনুপস্থিত থাকায় এক ছাত্রীকে আর পড়াবেন না বলে কোচিং থেকে বার করে দিয়েছিলেন শিক্ষক। কেন এমন কাজ করা হয়েছে, তা জানতে এসে ওই শিক্ষককে মেরে চোখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছাত্রীর দাদার বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বালির নিশ্চিন্দা থানার পি এন কলোনিতে। অন্য দিকে, ওই ছাত্রীর পরিবারও মারধরের অভিযোগ এনেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৪ ০২:০৬
Share:

এক মাস ধরে অনুপস্থিত থাকায় এক ছাত্রীকে আর পড়াবেন না বলে কোচিং থেকে বার করে দিয়েছিলেন শিক্ষক। কেন এমন কাজ করা হয়েছে, তা জানতে এসে ওই শিক্ষককে মেরে চোখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছাত্রীর দাদার বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বালির নিশ্চিন্দা থানার পি এন কলোনিতে। অন্য দিকে, ওই ছাত্রীর পরিবারও মারধরের অভিযোগ এনেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, পি এন কলোনির বাসিন্দা উত্তম ঘোষ ইংরেজির কোচিং দেন। এ বছরের জানুয়ারি মাসে স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন সাহার মেয়ে সোনালি সাহা তাঁর কোচিংয়ে ভর্তি হয়। মেয়েটি বালিরই একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। উত্তমবাবু বলেন, “ভর্তির পর থেকে সময় মতো টাকা দিত না। কিন্তু তা নিয়ে কখনও কিছু বলতাম না।” তিনি জানান, এপ্রিল মাসে এক দিনও সোনালি পড়তে আসেনি। না আসার কোনও কারণও জানানো হয়নি।

উত্তমবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, এ দিন সকালে সোনালি আবার পড়তে আসে। এক মাস কেন পড়তে আসেনি, জিজ্ঞাসা করলে ওই ছাত্রী কোনও উত্তর দেয়নি বলেই দাবি শিক্ষকের। তখন তিনি ওই ছাত্রীকে আর পড়াবেন না বলে বাড়ি চলে যেতে বলেন। উত্তমবাবু বলেন, “শিক্ষক হিসেবে আমার একটা কর্তব্য রয়েছে, যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় ভাল ফল করে সে দিকে নজর রাখার। এক মাস ধরে না আসায় ওই ছাত্রী অনেক পিছিয়ে পড়েছে। তাই আর পড়াতে চাইনি।”

Advertisement

পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষকের অভিযোগ, ছাত্রীটি বাড়ি যাওয়ার পরে তার বাবা প্রথমে এসে জানতে চান কেন মেয়েকে পড়ানো হয়নি। পরে তার মা শিপ্রাদেবী ও দাদা সুমন উত্তমবাবুর বাড়িতে হাজির হন। কেন পড়ানো হবে না বলা হয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। উত্তমবাবু ও সুমনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। অভিযোগ, তখনই সুমন ঘুষি মেরে ওই শিক্ষকের ডান চোখ ফাটিয়ে দেন।

অন্য দিকে পুলিশের কাছে শিপ্রাদেবী অভিযোগ করেছেন, না পড়ানোর কারণ জানতে চাওয়ায় উত্তমবাবু তাঁদের ধাক্কা দিয়ে বার করে দেন। তখনই শুরু হয় বচসা। তিনি বলেন, “মেয়ে চারটি ক্লাসে যায়নি। টিউশন ফি দিতে দেরি হচ্ছে বলে তিনি এমন ব্যবহার করবেন, ভাবিনি। আমরা ভদ্রভাবে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তিনিই প্রথম আমাদের উপরে চড়াও হন। ছেলেকে চড়-থাপ্পড় মারেন।” এই ঘটনায় দুই পক্ষের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement