একটি আড়তের সামনে মোটরবাইক রাখা নিয়ে এক যুবকের সঙ্গে স্থানীয় শ্রমিকদের বচসা থেকে মারধরের ঘটনাকে ঘিরে মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়ায় মন্দিরবাজারের বিজয়গঞ্জ বাস মোড়ের কাছে। নাজির হালদার নামে সংগ্রামপুর এলাকার ওই যুবকের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। এরই প্রতিবাদে এবং ধৃতদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় আধ ঘণ্টা ওই বাসমোড়ে অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। সামিল হন স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যেরা। শেষমেশ পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাসমোড়ের পাশে একটি আলু-পেঁয়াজ-ডিমের আড়ত রয়েছে। ওই আড়তে ৩৬ জন শ্রমিক কাজ করেন। মঙ্গলবার দুপুরে নাজির তাঁর বাইকটি ওই আড়তের সামনে রেখে কাছের একটি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যাচ্ছিলেন। বাইক রাখা নিয়ে তাঁর সঙ্গে শ্রমিকদের বচসা বাধে। অভিযোগ, এর পরেই কয়েক জন শ্রমিক নাজিরকে মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। সেই অভিযোগ উড়িয়ে নাজিরের বিরুদ্ধে পাল্টা হুমকির অভিযোগ তোলেন শ্রমিকেরা।
ওই গোলমালের সময়েই ঘটনাস্থলে চলে আসেন মন্দিরবাজারের তৃণমূল বিধায়ক জয়দেব হালদার, দলের ব্লক সভাপতি অলোক ভট্টাচার্য প্রমুখ। ওই দিনই নাজিরের ভাই উজির থানায় শ্রমিকদের তিন জনের নামে তাঁর দাদাকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। শ্রমিকদের মধ্যে সাহাদাত শেখ, গিয়াস মোল্লা প্রমুখের অভিযোগ, “ওই বাইক আরোহী ফোন করে বিধায়ককে ডেকে এনেছিলেন। বিধায়কের নির্দেশেই পুলিশ নিরপরাধ শ্রমিকদের গ্রেফতার করেছে। ওই যুবকও আমাদের মারধর করেন।” বিজয়কৃষ্ণ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কমলকৃষ্ণ মাঝি বলেন, “ওই যুবক সমিতিকে কিছু না জানিয়ে সরাসরি পুলিশের কাছে গিয়ে ঠিক করেননি।”
তাঁর নির্দেশে পুলিশ তিন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে বলে অন্য শ্রমিকেরা যে অভিযোগ তুলেছেন, তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “ওখানে শ্রমিকেরাই অকারণে এক যুবককে মারধর করেছে।” এর প্রতিবাদে এ দিন ওই মোড়ের কাছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ধিক্কার-মিছিল হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নাজিরের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।