ক্যানিংয়ে বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা, সমস্যায় বাসিন্দারা

সামান্য বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে যায় রাস্তায়। তার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয় না নিকাশি নালাগুলি। ফলে নালাগুলির সঙ্গে বৃষ্টির জমা জল মিশে একাকার। দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে পথ চলতে হয় পথচারীদের। সামান্য বর্ষাতেই নিকাশি নালার জল ছাপিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 ক্যানিং শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৪ ০২:১০
Share:

এমন কাজ নিয়মিত হোক, দাবি মানুষের।—নিজস্ব চিত্র।

সামান্য বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে যায় রাস্তায়। তার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয় না নিকাশি নালাগুলি। ফলে নালাগুলির সঙ্গে বৃষ্টির জমা জল মিশে একাকার। দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে পথ চলতে হয় পথচারীদের। সামান্য বর্ষাতেই নিকাশি নালার জল ছাপিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়। এমনই চিত্রের মুখোমুখি প্রত্যেক বর্ষাতে ক্যানিং মহকুমার মানুষ।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এলাকাতে নিকাশি ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। এমন ভাবেই কষ্ট করে থাকতে হয়। ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড, মহকুমা শাসকের দফতর, সিনেমা হল রোড, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প দফতর সংলগ্ন এলাকার নিকাশি অবস্থা খুবই খারাপ। এমনকী, দীর্ঘদিন ধরে ওই সব এলাকায় নিকাশি নালা সংস্কার না হওয়ার ফলে নর্দমার জলে জন্ম নিচ্ছে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো মরণ রোগের মশা। আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় নিকাশি নালার উপরে স্ল্যাব (ঢাকনা) ভাঙা। পথচলতি সাধারণ মানুষের পা এই ভাঙা স্ল্যাবের মধ্যে ঢুকে গিয়ে প্রায়শই ঘটছে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। দিনের পর দিন এ ভাবেই পথ চলতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে।

মাতলা ১ পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের তপন সাহা বলেন, “মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আমরা প্রায় ৪০ হাজার ফুট নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। বর্ষার আগে আমরা এই কাজ শেষ করতে চাইছি যাতে বর্ষার সময় রাস্তায় জল না জমে। এ ছাড়াও, আমরা রাস্তার যত্রতত্র ময়লা না ফেলার অনুরোধ জানিয়ে মাইকে প্রচার চালাচ্ছি। প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে অনুরোধ করছি। পঞ্চায়েত থেকে দু’টি ময়লা ফেলার গাড়ি তৈরি করেছি। পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত বাড়ি থেকে এই গাড়ি ময়লা তুলে আনবে।”

Advertisement

অনেক জায়গাতে আবার স্থানীয় কিছু দোকানদারেরা নিজেদের স্বার্থের জন্য নিকাশি নালা বন্ধ করে দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করেছেন। তাতে আরও বেশি অসুবিধায় পড়ছেন এলাকার মানুষ। কারণ এ ভাবে নর্দমার জল আটকা পড়ছে। এ ছাড়া, এই নর্দমার জলের সঙ্গে মিশছে বাজারের ময়লা, প্লাষ্টিক এবং অন্যান্য আর্বজনা। এতে দিনে দিনে নালার পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে।

ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড, মহকুমাশাসকের দফতর, গোবিন্দ সিনেমা হল এলাকাগুলি মাতলা ১ পঞ্চায়েতের অধীনে পড়ছে। অন্য দিকে, গোবিন্দ সিনেমা হল থেকে কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্র ব্যাঘ্রপ্রকল্পের দফতর, ইলেকট্রিক অফিস সংলগ্ন এলাকা দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। সম্প্রতি মাতলা ১ পঞ্চায়েত নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ শুরু করলেও দিঘির পাড় গ্রাম পঞ্চায়েত সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি। ফলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রধান শেফালি রায় বলেন, “ভোটের কারণে নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ শুরু করা যায়নি। টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।” মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, “ক্যানিং এর নিকাশি ব্যবস্থা একটা বড় সমস্যা। সামান্য বর্ষায় রাস্তায় জল জমে যায়। পঞ্চায়েতগুলিতে নর্দমা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement