আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুঠ, বাড়ছে আতঙ্ক

ফের ডাকাতি। এ বার বনগাঁর কুন্দিপুরে। রবিবার সকালে বনগাঁ শহরের অভিবাসন দফতরের কর্মী জগদীশ বিশ্বাস থানায় অভিযোগ করেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁদের কুন্দিপুরের বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। জগদীশবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৪ ০৭:২৯
Share:

ফের ডাকাতি। এ বার বনগাঁর কুন্দিপুরে।

Advertisement

রবিবার সকালে বনগাঁ শহরের অভিবাসন দফতরের কর্মী জগদীশ বিশ্বাস থানায় অভিযোগ করেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁদের কুন্দিপুরের বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। জগদীশবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। জগদীশবাবুর অভিযোগ, নগদ বেশ কয়েক হাজার টাকা ও প্রায় দু’ভরি সোনার গয়না নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি শুরু হয়েছে। পর পর এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় উদ্বিগ্ন শহরবাসী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বনগাঁ শহরের বাসিন্দা জগদীশবাবু তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখতে কুন্দিপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। দোতলা ওই বাড়িতে রঙের কাজ চলছে। সেই বাবদ কয়েক হাজার টাকা সঙ্গে করে এনেছিলেন তিনি। স্থানীয় কলমবাগান বাজার থেকে রাত ১০টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন জগদীশবাবু। সে সময়ে দোতলার চিলেকোঠায় শব্দ শুনতে পান। সে দিকে যেতেই দেখেন, উপর থেকে তিন জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী নেমে আসছে। জগদীশবাবুর বাবা-মা ও স্ত্রীকে একটা ঘরে ঢুকিয়ে দেয় তারা। স্ত্রীর হাত, মুখ বাঁধা হয়। তবে তাঁর বাবা-মাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পরে তাঁর কাছ থেকে আলমারির চাবি চায় তারা। না দিলে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে, ভোজালি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে দুষ্কৃতীরা টাকা ও গায়ের সোনার গয়না লুঠ করে বাড়ির পিছনের পাঁচিল টপকে পালায়। যাওয়ার আগে এক জন আবার তাঁদের কাছে জলও চায়। জগদীশবাবু বলেন, “বাড়িতে রং করার জন্য মিস্ত্রিরা যে ভারা বেঁধেছিল, তা বেয়েই দোতলায় উঠে চিলেকোঠা দিয়ে নামে দুষ্কৃতীরা। সকলেরই মুখ খোলা ছিল। ওরা হয়তো জানত, টাকা নিয়ে এসেছিলাম। না হলে অন্য দিনও ডাকাতি করতে পারত ওরা।”

Advertisement

ফের এমন ঘটনায় বনগাঁ শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়। সম্প্রতি বনগাঁ শহরের মতিগঞ্জে একটি ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম মেরামতির দোকানের শাটার কেটে নগদ টাকা, মোবাইল-সহ কয়েক লক্ষ টাকা চুরি হয়। বনগাঁ হাইস্কুল মোড়ে দিনে দুপুরে একটি আইসক্রিমের দোকানের সামনে থেকে সাইকেল চুরি হয় দোকানির। বেশ কয়েক দিন আগে শক্তিগড় এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মীর বাড়িতে গ্রিলের তালা ভেঙে ঢুকে নগদ টাকা লুঠ করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। প্রায়ই দিনে-দুপুরে কেপমারির ঘটনা ঘটছে।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, গভীর রাতে কোনও পুলিশি টহলদারি চোখে পড়ে না। রাতে শহরে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে। ইতিমধ্যে গোপালনগর থানা এলাকাতেও পরপর দু’টি বড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যদিও পরে গ্রেফতার হয়েছে দুষ্কৃতীরা। খোওয়া যাওয়া জিনিসও উদ্ধার করা হয়। বাসিন্দাদের কথায়, “অপরাধমূলক কাজকর্ম ঘটতেই পারে। কিন্তু তারপরে দ্রুত দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে পারলে সমস্যা কমে।”

ভাস্করবাবু বলেন, “রাতে বনগাঁ মহকুমার প্রতিটি থানা এলাকাতেই পুলিশি টহল চলছে। কিছু সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। অন্য ঘটনাগুলিতে দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement