সুর বদল আদিবাসীদের ‘মুখ’ হিসেবে পরিচিত, তরুণ মাঝি হাড়াম (মোড়ল) যোশেফ মারান্ডির। — ফাইল ছবি
নিজেদের মধ্যে সভা করে কয়লা খনি গড়ায় আপত্তি তুলেছিলেন বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের পাথর শিল্পাঞ্চল লাগোয়া জনপদের আদিবাসী বাসিন্দারা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুর বদলে আদিবাসীদের ‘মুখ’ হিসেবে পরিচিত, তরুণ মাঝি হাড়াম (মোড়ল) যোশেফ মারান্ডির।
শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিয়ো বার্তায় তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘হরিণশিঙায় বৃহস্পতিবার মাঝি বাবাদের পক্ষ থেকে একটি সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ শব্দ বা বাক্য উচ্চারিত হয়েছে। সেটা শোধরাতে চাই। আমরা শিল্পের পক্ষে। তবে সেটা আদিবাসীদের স্বার্থরক্ষা করে হতে হবে। প্যাকেজে কিছু ত্রুটি রয়েছে। সেটা নিয়ে আলোচনা চাই।’’ ভিডিয়ো ফুটেজটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার। তবে ভিডিয়োয় যোশেফের পাশে দেখা গিয়েছে আদিবাসী গাঁওতা নেতা রবীন সরেনকে। তিনি শাসকদলের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত। রবীনও ওই ভিডিয়ো বার্তায় আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষা করে শিল্পের পক্ষেই সাওয়াল করেছেন। তবে প্যাকেজে উল্লেখিত নলকূপের জন্য টাকা এবং পুনর্বাসনের জন্য দেওয়া বাড়ির মাপ-সহ বেশি কিছু বিষয়ে পরিমার্জন ও আলোচনা প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন।
প্রস্তাবিত কয়লা খনি ও তার জন্য সরকার ঘোষিত প্যাকেজ নিয়ে এলাকাবাসীর মত জানতে বৃহস্পতিবার হিংলো পঞ্চায়েতের হরিণসিঙা মতিলাল মারান্ডি ফুটবল মাঠে এলাকার আদিবাসী
সম্প্রদায়ের মোড়লদের (মাঝি হাড়াম) নেতৃত্বে আলোচনাসভা ডাকা হয়। সেখানেই এলাকাবাসীর ‘মত’ শুনে ‘খনি চাই না’ বলে দাবি তোলেন যোশেফ। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান পাথর শিল্পাঞ্চলে কাজ এবং কৃষি থেকে যা আয়, তাতেই খুশি তাঁরা। খনি কেউ চান না। কিন্তু, রাতারাতি তাঁর ‘সুর বদলে’ চর্চা শুরু হয়েছে। কেন? সে প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে যোশেফ শুধু বলেন, ‘‘যা বলেছি ভিডিয়োয় সেটা ঠিক। তবে, সেটা মানুষের নয়, কেবল আমার মত।’’