রবিবার সুফল বাংলার একটি স্টলে কৃষি বিপণন দফতরের কর্তা এবং পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে মন্ত্রী বেচারাম মান্না। নিজস্ব ছবি।
বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবের আগে বন্যা পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি হচ্ছে। এ বার সেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ আনতে উদ্যোগী হল রাজ্য কৃষি বিপণন দফতর। বন্যার সুযোগ নিয়ে মজুতদার এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াতে না পারেন, সেদিকেই মূলত নজর দফতরের। তবে সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যা বাড়িয়ে রাজ্যবাসীকে কম দামে সব্জি কেনার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতিতে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আসন্ন দুর্গাপূজায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে টাস্কফোর্সের সদস্যরা রাজ্যের সব বাজার পরিদর্শন করবেন বলে জানানো হয়েছে। কৃষি বিপণন দফতরের দাবি, গ্রীষ্মকালীন সব্জির দাম ৪০ টাকা কেজি থেকে ৫৫ টাকা কেজি। এই দাম গত সপ্তাহ এবং গত বছরের এই সময়ের তুলনায় সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভিন্ রাজ্য থেকে আসা পিঁয়াজ ও টম্যাটোর মতো পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু বাজারে যাতে কোনও ফাটকা না হয় এবং কৃত্রিম ভাবে দাম না বাড়ানো হয়, তার জন্য টাস্কফোর্সের সঙ্গে দফতরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগকেও সতর্ক করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের সঙ্গে সেই বিভাগের সদস্যদেরও নিয়মিত বাজার পরিদর্শনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে অল্প দামে সব্জি দিতে সুফল বাংলার আরও স্টল চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। ৬০০টির বেশি সুফল বাংলা বিক্রয় কেন্দ্রে রাজ্যে কৃষকদের থেকে সব্জি কিনে বাজারের থেকে কম দামে ক্রেতাদের বিক্রি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ২০০টি স্টল খোলা হয়েছে। যেগুলি পরিচালনা করবে স্বনির্ভর দল এবং সমবায় বিভাগগুলি। এর ফলে সাধারণ মানুষ বেশি সংখ্যক স্টল থেকে সব্জি কিনতে পারবেন। পাশাপাশি কৃষি প্রধান উৎপাদক জেলাগুলিতে কৃষি বিপণন বিভাগ ফসল ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে। যাতে এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত জিনিস সরকারি জায়গায় উচিৎ দামে বিক্রি করতে পারেন। সঙ্গে নতুন সুফল বাংলা বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৫০টি মালবাহী গাড়ি কেনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।