Bangla Sahayata Kendra

বরাদ্দ সত্ত্বেও বিএসকে নিয়ে সমস্যা মিটছে না

প্রশাসনের অন্দরে চর্চা, পুরসভা সংক্রান্ত কাজকর্ম অনেক সময়ে কিছুটা সময়সাপেক্ষ হয়ে যায়। আবার দালালচক্র পুরোপুরি যে নির্মূল করা যায়নি, তাও মেনে নিচ্ছেন আধিকারিকদের একাংশ।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৫:২৩
Share:

নবান্ন। —ফাইল চিত্র।

রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে ৩০টি নতুন নাগরিক সহায়তা পরিকাঠামো। সেগুলির জন্য যন্ত্রাংশ কেনা থেকে লোকবল নিয়োগ— সবই হয়েছে বলে দাবি। অথচ প্রশাসনের অন্দরেই অভিযোগ, অনেক দিন হয়ে গেলেও, সেগুলি কলকাতা পুরসভা গ্রহণ করবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছে। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জায়গার অভাবেই সেগুলি গ্রহণ করা যাচ্ছে না!

Advertisement

সরকারি সূত্রের দাবি, নবান্নের সিদ্ধান্ত ছিল, প্রতি ২৫ হাজার জনসংখ্যায় একটি করে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (বিএসকে) থাকবে। তাতে বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় গিয়েই সম্পত্তি কর থেকে জমি-বাড়ি মিউটেশনের আবেদন এমনকি, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নাগরিকেরা করে ফেলতে পারবেন নিখরচায়। এখনও পর্যন্ত শহর কলকাতায় পুরসভার অধীনে ৩৯টি বিএসকে স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের অন্দরেরই অভিযোগ, সেগুলি সমান ভাবে শহরে ছড়ানো নেই। বরং কোনও একটি জায়গায় একসঙ্গে রয়েছে অনেকগুলি বিএসকে, আবার কোথাও অনেকটা এলাকা জুড়ে একটিও পরিকাঠামো নেই। ফলে অনেকগুলি এলাকা এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। এই কারণে আরও ৩০টি বিএসকে কলকাতা পুরসভা এলাকার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু আধিকারিকমহলের দাবি, সেগুলি কার্যকর করা যাচ্ছে না কলকাতা পুরসভার আপত্তিতেই।

এক কর্তার কথায়, “এক একটি পরিকাঠামো পিছু দু’টি করে মোট ৬০টি কম্পিউটার কেনা হয়ে গিয়েছে। লোকবলও প্রস্তুত। কিন্তু তা চালু করা যাচ্ছে না।” যদিও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “সব বরো এলাকায় বিএসকে রয়েছে। আর জায়গা নেই। চেষ্টা করছি, কিন্তু জায়গা খুঁজে পাচ্ছি না। জায়গা না থাকলে কী করা যাবে। খুঁজছি, যেখানে জায়গা পাব, সেখানে বিএসকে নেব।”

Advertisement

প্রশাসনের অন্দরে চর্চা, পুরসভা সংক্রান্ত কাজকর্ম অনেক সময়ে কিছুটা সময়সাপেক্ষ হয়ে যায়। আবার দালালচক্র পুরোপুরি যে নির্মূল করা যায়নি, তাও মেনে নিচ্ছেন আধিকারিকদের একাংশ। তা ছাড়া, অনেক পরিষেবা অনলাইন হয়ে যাওয়ায় প্রবীণ নাগরিকদের একাংশের কিছু সমস্যাও হয়। বিএসকে-গুলিতে এই ধরনের পরিষেবা বিনা পয়সায় পাওয়া যায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, একটি অর্থবর্ষে কমবেশি ২০০ কোটি টাকা খরচ হয় বিএসকে-পরিচালনার খাতে। তবে গতবছরে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আয় হয়েছিল এই পরিকাঠামোগুলি থেকে। এ বছর ৬০০ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement