Supreme Court of India

মুচলেকা ছাড়াই ছুটির শেষে স্কুলে যোগ আজ

২০১৬-র স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) প্যানেলে থাকা ২৬,৫৭৩ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে। যে নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪ ০৭:৪৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে মুচলেকা দিয়ে স্কুলে যোগ দিতে হবে তাঁদের।

Advertisement

কিন্তু, আজ, সোমবার স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা যোগ দিলেও তাঁরা কার্যত মুচলেকা দিচ্ছেন না। সেই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশও নেই সরকারি স্তরে। এতে আদালতের নির্দেশ অবমাননা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

২০১৬-র স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) প্যানেলে থাকা ২৬,৫৭৩ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে। যে নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের ফলে আপাতত চাকরিতে বহাল রয়েছেন তাঁরা। তবে, শীর্ষ আদালতের শর্ত, যত দিন বিচার প্রক্রিয়া চলবে তত দিনই চাকরিতে বহাল থাকবেন সবাই। পরে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণিত হবে, তাঁর শুধু চাকরিই যাবে না, তাঁকে এত দিন পাওয়া বেতনের টাকাও ফেরত দিতে হবে। এমনকি, এ বার যখন তাঁরা স্কুলে যোগ দেবেন, তখন এই বেতন ফেরত দেওয়া সংক্রান্ত মুচলেকাও দিতে হবে। এখন উঠে আসছে সেই মুচলেকার প্রসঙ্গ।

গরমের ছুটি শেষে আজ, সোমবার স্কুল খুলছে। পড়ুয়ারা স্কুলে আসবে ১০ জুন থেকে। সোমবার থেকে আসবেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।

শিক্ষকদের অভিযোগ, এই মুচলেকা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি স্কুল শিক্ষা দফতর প্রকাশ না করায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারা এই মুচলেকা নেবে, সেটা স্পষ্ট নয়। কাদের থেকে নেওয়া হবে, সেটাও স্পষ্ট নয়। প্রধান শিক্ষকদের একাংশের আশঙ্কা, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানলে শেষ পর্যন্ত আদালত অবমাননার দায় তাঁদের ঘাড়ে পড়বে না তো?

নিজেদের যোগ্য বলে দাবি করা শিক্ষকেরা কোনও মুচলেকা দেবেন না। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট শুধু অযোগ্য শিক্ষকদের মুচলেকা দিতে বলেছে। ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ২০১৬ অধিকার মঞ্চ’-র পক্ষে মেহেবুব মণ্ডল রবিবার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যাঁদের নিয়োগ অবৈধ বলে অভিযোগ উঠেছে, কেবল তাঁদেরই মুচলেকা দিতে হবে। আমাদের দিতে হবে না। জোর করে আমাদের মুচলেকা নিতে গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”

প্রধান শিক্ষকদের মতে, কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য, সেই পার্থক্য তাঁরা কী ভাবে বিচার করবেন? তাই মুচলেকা ছাড়াই সোমবার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা যোগ দিলে, তাঁদের এই নিয়ে কোনও আপত্তি করার জায়গা নেই। শিক্ষা দফতরের কর্তারা চুপ। এক কর্তা শুধু বলেন, “বেআইনি নিয়োগ কাদের হয়েছে, সেটা তো স্পষ্ট নয় এখনও। কোনও শিক্ষক কি নিজে থেকে তাঁর নিয়োগ বেআইনি ভাবে হয়েছে বলে মুচলেকা দেবেন?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement