Subhas Chandra Bose

২৩ জানুয়ারি ‘দেশনায়ক দিবস’ ঘোষণা মমতার, ফের জাতীয় ছুটির দাবি

নেতাজির নামে ‘আজাদ হিন্দ বাহিনী’ মনুমেন্ট এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:১১
Share:

নবান্নে ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন নিয়ে এ বার নয়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ২৩ জানুয়ারি দিনটি ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে ওই দিনটি জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবিও ফের এক বার তুললেন তিনি। সোমবার নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন নিয়ে নবান্নে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নেতাজির পৌত্র সুগত বসু, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি। হাজির ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও। বৈঠকে উঠে এসেছে নেতাজির জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা।

নেতাজির জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপনে পরিকল্পনা রাজ্যের

Advertisement

• ২৩ জানুয়ারি পালিত হবে ‘দেশনায়ক দিবস’

• জন্মদিবসে শ্যামবাজার থেকে রেড রোড পর্যন্ত মিছিল

• ২৩ জানুয়ারি বেলা ১২.১৫-তে রাজ্য জুড়ে সাইরেন বাজানো হবে

• ওই দিন বাড়ি বাড়ি শঙ্খধ্বনি এবং উলু দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন মমতা

• নেতাজির জীবন নিয়ে তৈরি হবে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি

• স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হবে ‘আজাদ হিন্দ বাহিনী’

• ১৫ অগস্ট নেতাজিকে সম্মান জানিয়ে হবে কুচকাওয়াজ

নেতাজির জন্মজয়ন্তী উদযাপন নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক। ছবি: ভিডিয়ো থেকে

আরও পড়ুন: বৈশাখীর গোসা ভাঙল না, এলেন না শোভনও, চরম বিব্রত বিজেপি

আরও পড়ুন: দলত্যাগী সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের আর্জি তৃণমূলের

সোমবারের বৈঠকে নেতাজির নামে ‘আজাদ হিন্দ বাহিনী’ মনুমেন্ট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি তাঁর নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছেন। নেতাজিকে রাজ্যবাসীর সামনে তুলে ধরতে তৃণমূল স্তর থেকে নানা পরিকল্পনাও করা হয়েছে। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গড়া হয়েছে কোঅর্ডিনেশন কমিটি। কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে মমতা এ দিন বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে আমরা তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু করতে পারিনি। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছি। এটা আমার দাবি।’’ সেই সঙ্গে ঘোষণা করেছেন, ওই দিনটি পালিত হবে ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসাবে। গত নভেম্বরও সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে ‘জাতীয় ছুটি’ হিসাবে ঘোষণা করার দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা। যদিও তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

নতুন বছর পড়ার বেশ কিছুটা আগে, গত ২২ ডিসেম্বর নেজাতির জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপনে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরির কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে দিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, নেতাজির পরিবারের সদস্য, বিশেষজ্ঞ, ইতিহাসবিদ, লেখক এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিরাও ওই কমিটিতে থাকবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement