তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভায় দলের চার জন প্রার্থীর মধ্যে তিন জন মহিলাকে বেছে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত কয়েক মাস ধরে বারবার দলীয় নেতৃত্বের পক্ষে বার্তা দেওয়া হয়েছে, মোদী সরকার মুখে মহিলাদের উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবে নারী শক্তিকে খাটো করাই তাদের দস্তুর। আজ তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন তাঁর ব্লগে দেশের উচ্চ পদগুলিতে নারীদের বঞ্চনাকে সামনে এনে নিশানা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মহিলা সংরক্ষণ বিল নির্বাচনী চমক ছাড়া কিছু নয়। সংসদ এবং সংসদের বাইরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলিতে লিঙ্গ বৈষম্যের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন তিনি।
ডেরেকের কথায়, “১৯৬২ সালে দেশে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে সেটা এসে দাঁড়িয়েছে ৬৬ শতাংশে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ভারতে সাংসদদের মাত্র ১৫ শতাংশ মহিলা। শাসক দল বিজেপির মহিলা সাংসদ মাত্র ১৪ শতাংশ। কিন্তু এরই বিপরীত চিত্র তৃণমূলে। সেখানে ৩০ শতাংশের বেশি মহিলা সাংসদ। অর্থাৎ প্রতি তিন জন সাংসদের এক জন মহিলা।”
নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে যে দু’জন কমিশনার থাকেন তাঁদের এক জন, অনুপ চন্দ্রের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার ঠিক আগে তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “নির্বাচন কমিশন তো পুরুষতন্ত্রের ক্লাব হয়ে উঠেছে। এক জন মুখ্য কমিশনার, দু’জন সহ-কমিশনার, ছ’জন ডেপুটি কমিশনার — সবাই পুরুষ।” নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের প্রসঙ্গ তুলে ডেরেক বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট গঠন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত মাত্র ১১ জন মহিলা বিচারপতি এসেছেন। দেশের প্রধান বিচারপতি পদে কখনও কোনও নারীকে দেখা যায়নি। হাই কোর্টের ৬৮০ জনের মধ্যে মাত্র ৮৩ জন মহিলা।”
এই প্রসঙ্গে পুলিশের প্রসঙ্গও টেনে ডেরেক মনে করিয়ে দিয়েছেন, মাত্র ১০.৫ শতাংশ মহিলা পুলিশ অফিসার রয়েছেন ভারতে।