ফাইল চিত্র।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের শক্তি বেড়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আজ, শনিবার রাতে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে। কাল, রবিবার পর্যন্ত সেটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। তার পরে উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোতে পারে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবে ছিল। রাতে সেটি গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেয়। গোটা পরিস্থিতির উপরেই নজর রাখছে মৌসম ভবন। তারা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগর উত্তাল হতে পারে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা পেয়ে তারা ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সম্ভাব্য বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার প্রস্তুতি শুরু করেছে। সমুদ্রে থাকা নৌকা ও ট্রলারগুলিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে টহলদার জাহাজ ও জলযান পাঠানো হয়েছে। নজরদারি চলছে আকাশপথেও।
আরও পড়ুন: স্কুলে মাইক বেঁধে বাড়িতে শ্রুতিপাঠ
ঘূর্ণিঝড়টি শেষ পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে মুখ ঘোরালেও ঠিক কোন এলাকা দিয়ে সে স্থলভাগে ঢুকবে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। আবহবিদদের কেউ কেউ বলছেন, অনেক সময় উপকূলের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় শক্তি খুইয়ে ফেলে ঘূর্ণিঝড়। এ ক্ষেত্রে তেমন হবে কি না, তা-ও নিশ্চিত নয়।
আরও পড়ুন: তেলেনিপাড়া নিয়ে আপত্তিকর ‘পোস্ট’, গ্রেফতার মহিলা
ঘূর্ণিঝড়ের আবহে আন্দামানে বর্ষার আগমনের পথ প্রশস্ত হয়েছে। কিন্তু এ বার কেরলে বর্ষার আগমনে বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। তারা বলেছে, ১ জুনের বদলে ৫ জুন কেরল দিয়ে মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে পারে বর্ষা।