বার্তা: এগরায় পিনকনের বহুতলে নোটিস। —নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার এগরা শহরে পিনকন অর্থলগ্নি সংস্থার তৈরি একটি চারতলা ভবন ‘সিল’ করে দিল রাজ্য সরকারের ‘ডাইরেক্টরেট অফ ইকনমিক অফেন্স’ (ডিইও)। ‘সিল’ করা হয়েছে নিউ দিঘায় পিনকনের একটি হোটেলও। সেখানকার পর্যটকদের পাশের অন্য হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তবে, পিনকন হোটেলের একতলার পানশালাটি সিল করা হয়নি। হোটেলের ম্যানেজার উত্তম ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, ওই পানাশালার মালিক পিনকন নয়।
এগরায় যে ভবনটি সিল করা হয়েছে, তার একতলায় রয়েছে এগরা পুরসভার অফিস। সে অংশটি অবশ্য বন্ধ করা হয়নি। পুরপ্রধান শঙ্কর বেরা বলেন, ‘‘বছর পাঁচেক আগে পুরসভার সঙ্গে ওই সংস্থার চুক্তি হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই এই ভবন তৈরি হয়। একতলায় পুরসভা ছাড়াও কিছু দোকান রয়েছে। সবই তদন্তকারী দলকে জানিয়েছি।’’
এগরা পুরসভা বর্তমানে তৃণমূল পরিচালিত। তবে আগে পুরবোর্ডে যৌথ ভাবে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস ও তৃণমূল। সে আমলে পুরপ্রধান ছিলেন কংগ্রেসের স্বপনকুমার নায়ক। পরে তিনি দলবদলে তৃণমূলে আসেন। এ দিন স্বপনবাবু বলেন, ‘‘যত দূর মনে আছে ২০১০ সালের শেষের দিকে ওই সংস্থার সঙ্গে পুরসভার চুক্তি হয়েছিল। তার প্রতিলিপি তদন্তকারীদের দিয়েছি।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, ওই ভবন তৈরির সময় চুক্তি হয়েছিল, একতলা পুরসভাকে দিয়ে বাকি অংশে আবাসন তৈরি করবে পিনকন। তবে সেই আবাসন তৈরির কাজ এগোয়নি। চলতি বছর এপ্রিলে ভবনটি ‘বিপজ্জনক’ বলে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানায় পুরসভা। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছে, পুরসভা ওই অভিযোগ আনার আগেই পিনকনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তখন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ, পিনকনের কর্ণধারক মনোরঞ্জন রায় গ্রেফতারের পরেই সংস্থার কলকাতার রেডক্রস প্লেসের অফিসও সিল করা হয়েছে এগরার ভবনের মতোই।
পিনকন নিয়ে খেজুরি থানার মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা ও হুগলি থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন। তাঁদের সকলকেই ১৪ দিনের ডিইও হেফাজতে পাঠিয়েছে তমলুক আদালত।