প্রতীকী ছবি।
জ্বরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় বেলঘরিয়ার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পানিহাটির এক যুবককে বৃহস্পতিবার সল্টলেকের একটি হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেবাব্রত সাহা (৩৯) নামে ওই যুবক শুক্রবার সকালে মারা যান। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ লেখা হয়েছে, ‘কার্ডিয়োমায়োপ্যাথি অ্যান্ড শক ডিউ টু ডেঙ্গি’। এ ভাবেই ডেঙ্গি-মৃত্যু থাবা বসাল পানিহাটিতে। দিন কুড়ি আগে পড়শি পুরসভা খড়দহের বাসিন্দা, কলকাতা পুরসভার এক কর্মীও ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন।
পানিহাটির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগরের বাসিন্দা সেবাব্রত কম্পিউটারে ডিজ়াইন বানাতেন। কলকাতায় তাঁর নিজস্ব সংস্থা আছে। পারিবারিক সূত্রের খবর, কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। জ্বর বাড়তে থাকায় রবিবার বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়ে।
ওই যুবকের শ্বশুর স্বপন সাহা বলেন, ‘‘বেলঘরিয়া থেকে নিয়ে গিয়ে ওঁকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। তার পরে সব শেষ।’’ এ দিন সকালে ওই যুবকের মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর স্ত্রী সৌমিদেবী বাগ্রুদ্ধ হয়ে পড়েন। তাঁদের সাত বছরের একটি ছেলে আছে।
ডেঙ্গিতে ওই যুবকের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তাপস সিংহ বলেন, ‘‘১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৪-৫ জনের ডেঙ্গি হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। পানিহাটিতে এই প্রথম ডেঙ্গিতে কারও মৃত্যু হল।’’
নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষের পরে পানিহাটি পুরসভা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন প্রশাসক। সব ওয়ার্ডে ঠিকমতো সাফাইয়ের কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, শান্তিনগর খাল-সহ এলাকার কোথাও ঠিকঠাক আবর্জনা সাফাই হয় না। সেই জন্যই ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। তবে তাপসবাবুর দাবি, ‘‘প্রশাসকের পাশাপাশি আমরাও সারা বছর ধরে ডেঙ্গির বিষয়ে সতর্ক-সচেতন আছি। নাগরিকদের সচেতন করার পাশাপাশি এলাকা সাফসুতরো রাখার দিকে প্রতিনিয়তই নজর রাখা হয়।’’