গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে বনগাঁয়, বলল হাইকোর্ট 

বনগাঁর পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থাকে বৈধতা দিতে চেয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ১১ কাউন্সিলর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯ ০০:৩৯
Share:

কলকাতা হাইকোর্ট। —ফাইল চিত্র।

গণতন্ত্র রক্ষা করাই আদালতের কাজ। বনগাঁ পুরসভায় সেই গণতন্ত্রই বিপন্ন হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ওই পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন, ১১ জন কাউন্সিলরকে অনাস্থা বৈঠকে যোগ দিতে যে বাধা দেওয়া হয়েছে, তা অস্বীকার করা যায় না।

Advertisement

বনগাঁর পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থাকে বৈধতা দিতে চেয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ১১ কাউন্সিলর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। এ দিন সেই মামলার শুনানিতে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কাউন্সিলরদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, অনাস্থা বৈঠকের মতো ‘বিশেষ সভা’ পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার ও অর্থ বিভাগের অফিসার কেন হাজির থাকবেন। পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের পেশ করা হলফনামার জবাব দিতে গিয়ে বিকাশবাবু বলেন, পুরসভার কার্যবিবরণীতে লেখা রয়েছে বৈঠক হয়েছে বেলা ৩টে থেকে ৩টে ৪০ মিনিট পর্যন্ত। অথচ হলফনামায় পুরপ্রধান জানিয়েছেন, এগজিকিউটিভ অফিসার বেলা পৌনে চারটে পর্যন্ত ১১ জন কাউন্সিলরের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারকে চাপ দিয়ে ওই কথা লেখানো হয়েছিল কি না সেই প্রশ্নও তোলেন বিকাশবাবু। একই সঙ্গে তিনি জানান, অনাস্থার মতো গোপন বৈঠকে কাউন্সিলররা ছাড়া আর কেউ থাকতে পারেন না বলে দাবি করেন বিকাশবাবু।

পুরপ্রধানের গোষ্ঠীর কাউন্সিলরদের আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত আদালতে দাবি করেন, যাঁরা পরে অনাস্থা বৈঠক ডাকেন, তাঁদের অভিযোগ তাঁদের প্রথম বৈঠকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরসভার কার্যবিবরণীতে তা বলা নেই। মামলায় তাঁরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ বাধা দিয়েছে। কোন অভিযোগ ঠিক তা জানতে চান পার্থবাবু।

Advertisement

তা শুনে বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘‘১১ জন কাউন্সিলরের জন্য অপেক্ষা করা উচিত ছিল।’’ পার্থবাবু দাবি করেন, অপেক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু এই ধরনের বৈঠকে কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে পুরআইনে তা নির্দিষ্ট করে বলা নেই।

মামলার পরবর্তী শুনানি ৩১ জুলাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement