—প্রতীকী ছবি।
এক মাস এগিয়ে আগামী বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এই অবস্থায় বেশ কিছু আগেই পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার দাবি উঠছে। শিক্ষার্থীদের যুক্তি, পরীক্ষা যে-হেতু এগোচ্ছে, যথাসম্ভব আগাম প্রস্তুতিও চাই। সেই প্রস্তুতির জন্য একাদশ থেকে দ্বাদশে ওঠার পরেই পড়ুয়াদের ট্যাব বিলি করা হোক। গত বার সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ওই ট্যাব দেওয়া হয়েছিল। এ বার দাবি উঠেছে, ট্যাব কেনার জন্য অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা না-পাঠিয়ে পড়ুয়াদের ট্যাব কিনে দেওয়া হোক সরাসরি।
কয়েক বছর ধরে শিক্ষা দফতর থেকে ট্যাবের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টের আগে পরীক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, এত দেরি করে ট্যাব দেওয়ায় পরীক্ষার্থীরা তার সুফল বা সুবিধা আদৌ পাচ্ছে কি? শিক্ষা শিবিরের বড় অংশের অনুযোগ, ট্যাবের টাকা এমন সময়ে দেওয়া হয়, তা পরীক্ষা-প্রস্তুতির কোনও কাজেই লাগে না। এ বার দীর্ঘ গরমের ছুটির পরে সবে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষকদের বক্তব্য, জুন থেকে পুজোর আগে পর্যন্ত মাত্র সাড়ে চার মাস ক্লাস হবে। এই সাড়ে চার মাসে দ্বাদশের পুরো পাঠ্যক্রম শেষ করা খুবই কঠিন। এই পরিস্থিতিতে গরমের ছুটির পরে পরেই ছাত্রছাত্রীরা যদি ট্যাব পেয়ে যায়, তা হলে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হতে পারে।
কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রশ্ন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাবী পড়ুয়াদের যদি ল্যাপটপ কিনে দেওয়া যায়, তা হলে টাকা না-পাঠিয়ে দ্বাদশের পড়ুয়াদের সরাসরি ট্যাব কিনে দেওয়া যাবে না কেন? পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতর সরাসরি ট্যাব কিনে পড়ুয়াদের দিক। এবং সেটা যত তাড়াতাড়ি দেওয়া যায় ততই ভাল।’’
শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, এর আগে অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে, সেই টাকায় ট্যাব না-কিনে দোকান থেকে রসিদ জোগাড় করে স্কুলে জমা দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। পড়ুয়াদের সরাসরি ট্যাব কিনে দিলে তেমন অভিযোগের পথ বন্ধ হবে।