Hetal Parekh case

ধনঞ্জয় মামলার পুনর্বিচারের দাবি

পদ্মপুকুর এলাকায় ফ্ল্যাটের মধ্যে এক স্কুলছাত্রীকে ১৯৯০-এ ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বাঁকুড়ার ছাতনার এক গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয়। আলিপুর সংশোধনাগারে তাঁর ফাঁসি হয়েছিল ২০০৪ সালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:২২
Share:

ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের মামলা পুনর্বিচারের দাবি নিয়ে মঞ্চের প্রতিনিধিরা কালীঘাটে। —নিজস্ব চিত্র।

আর জি কর-কাণ্ডের আবহে ২০০৪-এ ধর্ষণ ও খুনে ফাঁসি হওয়া ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের মামলার পুনর্বিচার শুরু করার দাবিতে সরব হল একটি মঞ্চ। জুনিয়র ডাক্তারেরা সোমবার কালীঘাটে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকছিলেন যখন, সেই সময়ে ব্যারিকেডের সামনে এসেও এই দাবি জানান ‘ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ’ নামে ওই সংগঠনের প্রতিনিধিরা। একই দাবিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরেও চিঠি দিয়েছে মঞ্চ।

Advertisement

পদ্মপুকুর এলাকায় ফ্ল্যাটের মধ্যে এক স্কুলছাত্রীকে ১৯৯০-এ ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বাঁকুড়ার ছাতনার এক গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয়। আলিপুর সংশোধনাগারে তাঁর ফাঁসি হয়েছিল ২০০৪ সালে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিসরে এখনও বিতর্ক রয়েছে। এই সূত্রেই মঞ্চের আহ্বায়ক চন্দ্রচূড় গোস্বামী এ দিন বলেছেন, “বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করে আমার বিশ্বাস, আসল অপরাধীকে আড়াল করতেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান ধনঞ্জয়বাবুকে বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এমন কোনও অকাট্য তথ্য-প্রমাণ নেই, যার ভিত্তিতে ১৪ বছর জেল খাটার পরেও ওঁকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল।” মঞ্চের তরফে তৎকালীন বাম আমলের দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে।

মামলার পুনর্বিচার চেয়ে এ দিন মঞ্চের পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, বিজেপির কাছে দাবিপত্র দেওয়া, রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের নজরে বিষয়টি আনার মতো কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং আর জি কর-কাণ্ডকে সামনে রেখে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কাছেও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement