ভবানী ভবন। —ফাইল চিত্র।
পরপর দু’দিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডিউটি করার পরের দিন আচমকাই কাজে আসতে অস্বীকার করেছিলেন রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিকের গাড়ির চালক। বিপাকে পড়েন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যস্ত থাকা ওই আধিকারিক।
পুলিশ গাড়ির অস্থায়ী চালকদের নিয়ে সম্প্রতি এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন একাধিক পুলিশ অফিসার। ভবিষ্যতে ওই অবস্থা যাতে না হয়, তার জন্য পুলিশ গাড়ির স্থায়ী চালক নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে ভবানী ভবন। সূত্রের খবর, পুলিশ গাড়ির ১৫০০ স্থায়ী চালক নিয়োগের জন্য রাজ্য পুলিশের তরফে নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হয়। যদিও সরকারের কোষাগারের যা হল, তাতে একসঙ্গে এতগুলি স্থায়ী পদে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার রাজি হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশেরই একাংশ।
সূত্রের খবর, কনস্টেবলদেরই পুলিশ গাড়ির চালক হিসেবে নিয়োগ করা হত এত দিন। কনস্টেবলদের থেকে বেশি বেতন পেতেন চালকেরা। সম্প্রতি ওই বেতনের ফারাক এবং সুযোগ সুবিধে কমে যাওয়ায় কনস্টেবল থেকে আর গাড়ির চালক হওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। ঘাটতি সামাল দিতে অস্থায়ী সিভিক ভলান্টিয়ার কিংবা হোমগার্ড থেকে কর্মীদের এনে ওই কাজ করানো হচ্ছে। তাঁরা মাসে সাকুল্যে নয় থেকে ১০ হাজার টাকা বেতন পান।
বেসরকারি সংস্থা থেকে চালক-সহ গাড়ি ভাড়াও নেওয়া হয় অফিসারদের জন্য। সে ক্ষেত্রে প্রতি দিন চালক-সহ গাড়ির জন্য মালিককে ৪৮০ টাকা করে দেওয়া হয়। মালিক সেই টাকা থেকে কিছু অংশ চালককে দেন। তাতেও সেই চালকেরা কয়েকদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডিউটি করে অনুপস্থিত থাকছেন। রাজ্য পুলিশের এক কর্তার কথায়, চালককে সবার আগে কাজে যোগ দিতে হয়। সবার শেষে ছুটি পান। অন্য পদের তুলনায় চালকের খাটনি বেশি। ফলে, ওই কাজে বেশি টাকা না-দিলে লোক পাওয়া মুশকিল বলে তাঁদের মত।