ফাইল চিত্র।
আগামী বছরের গোড়াতেই পশ্চিমবঙ্গে হবে পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোটের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিল প্রশাসন। সব ঠিকঠাক চললে পুজোর আগেই সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু হতে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমানা পুনর্বিন্যাসের পাশাপাশি আসন সংরক্ষণের কাজও হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত স্তরে ১০ বছর অন্তর সীমানা পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণের কাজ হয়ে থাকে। এর আগে ২০১৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ২০১২ সালে সীমানা পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণের কাজ হয়েছিল। নিয়মানুযায়ী ২০২২ সালে ফের সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ হবে। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী রাজ্যে মোট ৪৮ হাজার ৬৩৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৯২১৪ এবং জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা মোট ৮২৪টি।
প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। কারণ এ বার ভোট এগিয়ে আসতে পারে। তার কারণ আগামী বছর গ্রীষ্মের খরতাপে ভোট করাতে নারাজ রাজ্য সরকার। তাই নির্বাচন এগিয়ে শীতের সময় আনা হতে পারে। ইতিমধ্যে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করতে সব জেলাকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে নীচুতলায় গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও)-রা সীমানা পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণের কাজ করবেন। পঞ্চায়েত সমিতিতে এই কাজ করবেন মহকুমা শাসকরা। জেলা পরিষদ স্তরে জেলাশাসকরা সীমানা পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণের কাজে দায়িত্বে থাকবেন।
২০১২ সালের তুলনায় বেশ কিছু পঞ্চায়েত এলাকা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফলে ওইসব পুরসভা এলাকাকে সীমানা পুনর্বিন্যাসের তালিকা থেকে বাদ রাখা হবে। আগামী নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। কারণ সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে রাজ্য জুড়ে উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে যাবে। তাই তার আগেই এই সংক্রান্ত কাজ এগিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসেই গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসন সংখ্যার প্রকৃত চিত্র স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।