আলাপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা ক্যাট-এর রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল দিল্লি হাই কোর্ট।
তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত খারিজ করতে চেয়ে ক্যাট-এর কলকাতা বেঞ্চে মামলা করেছিলেন আলাপন। তবে সেই মামলায় রায়দানের আগেই ক্যাট-এর দিল্লির প্রিন্সিপাল বেঞ্চে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। আলাপন এই স্থানান্তরণের সিদ্ধান্তকেও চ্যালেঞ্জ জানান। কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন এবং জয়ী হন। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের সেই রায় ধাক্কা খায় সুপ্রিম কোর্টে। আলাপনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্থানান্তরণের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই। ক্যাট-এর প্রিন্সিপাল বেঞ্চের মামলা স্থানান্তরণের ক্ষমতা আছে। তারা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। তবে একই সঙ্গে আলাপনের সামনে ক্যাট-এর প্রিন্সিপাল বেঞ্চের বদলে দিল্লি হাই কোর্টেও আবেদন করার বিকল্প খুলে রাখা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ক্যাট-এর রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি দিল্লি হাই কোর্টে গিয়েছিলেন আলাপন। শুক্রবার সেই মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল দিল্লি হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত, অবসরের ঠিক আগে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ সাময়িক বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বর্ধিত সময়সীমা পর্যন্ত কাজ করেননি আলাপন, বরং নির্দিষ্ট দিনেই (৩১ মে, ২০২১) রাজ্যের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেন তিনি। এর পর আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ মন্ত্রক।
ওই তদন্ত খারিজের দাবিতেই ক্যাট-এর কলকাতা বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আলাপন। সঙ্গে জানিয়েছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মী হিসেবে তাঁর যে সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য, তা তিনি পাচ্ছেন না। কিন্তু সেখানে কোনও স্থায়ী সমাধান হওয়ার আগে ২২ অক্টোবর মামলাটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়ে যায়।