ফাইল চিত্র।
গত মাসে যে দিন ইডি-র সদর দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল, সে দিনই কলকাতা পুলিশ ইডি-র তিন অফিসারকে ডেকেছিল। ইডি-র অভিযোগের ভিত্তিতে আজ দিল্লি হাই কোর্ট কলকাতা পুলিশের ওই সমনে স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
ইডি-র অভিযোগ ছিল, কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্তকারী অফিসারদের হেনস্থা করতেই কলকাতা পুলিশ ইডি-র অফিসারদের ডেকেছে। যখনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি সমন পাঠায়, তখন কলকাতা পুলিশও ইডি-র অফিসারদের পাল্টা সমন পাঠায়। গত বছর জুলাই ও অগস্ট মাসে দু’বার সমন পাঠানো হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসে দিল্লি হাই কোর্ট ইডি-র অভিযোগ পেয়ে কলকাতা পুলিশের সমনে স্থগিতাদেশ জারি করে। এর পরে গত মার্চ মাসে ইডি নতুন করে অভিষেককে সমন পাঠায়। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকেও আবার ইডি-র অফিসারদের সমন পাঠানো হয়। ২১ মার্চ অভিষেককে ইডি দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই জিজ্ঞাসাবাদে যুক্ত তিন অফিসারকে ওই দিনই কলকাতায় ডাকা হয়েছিল। এর পরে ইডি ফের দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
গত শুক্রবারই দিল্লি হাই কোর্ট কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল, ইডি-র মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত যেন তারা সংযত থাকে। হাই কোর্টের বিচারপতি জসমীত সিংহ আজ কলকাতা পুলিশের নতুন সমনে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। আগামী ১৭ মে ফের এই মামলার শুনানি হবে।
অভিষেক নিজেই ২১ মার্চ ইডি-র দফতর থেকে বেরিয়ে বলেছিলেন, কলকাতা পুলিশের কালীঘাট থানায় তিনিই অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিধানসভা ভোটের সময় একটি টিভি চ্যানেলে একটি ভয়েস ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে (যার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি)। সেখানে এক তদন্তকারী অফিসার ও এক সাক্ষীর কথোপকথন শোনা যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানে অভিষেকের নামও উল্লেখ করা হয়েছিল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ওই ভয়েস ক্লিপ ফাঁস করা হয়েছে, এই অভিযোগে অভিষেক এফআইআর করেছিলেন।
ইডি সূত্রের বক্তব্য, কালীঘাট থানায় এফআইআর হয় গত বছরের এপ্রিলে। ২২ জুলাই কলকাতা পুলিশ সেই মামলায় তিন অফিসারকে সমন পাঠায়। ওই দিনই কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রথম ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন পাঠিয়েছিল। এর পরে ফের ২১ অগস্ট সমন পাঠানো হয়। তাতে হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করলেও গত মাসে ইডি ফের অভিষেককে ডেকে পাঠালে কলকাতা পুলিশও ইডি-র অফিসারদের সমন পাঠায়। শুধু হেনস্থা নয়, তদন্তেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের অভিযোগ।