—প্রতীকী ছবি।
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল বঙ্গোপাসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘হামুন’। এই নামটি ইরানের দেওয়া। ‘হামুন’ শব্দের অর্থ সমতল ভূমি বা পৃথিবী। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ‘হামুন’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়ে ওঠা নিম্নচাপের জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জেলায় সোমবার বেলা থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বাংলা জুড়ে এখন উৎসবের আবহ। সোমবার দুর্গাপুজোর নবমী। হাওয়া অফিস জানিয়েছে নবমীর রাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় মঙ্গলবার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে দু’এক জায়গাতে। এর মধ্যেই রাতের পূর্বাভাসে গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ তৈরি হওয়ার খবর দিলেন আবহবিদেরা।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার গতিতে গত ছ’ঘণ্টা ধরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্বে সরতে সরতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এ পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া দফতর থেকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ সেটি দিঘা থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, ২৫ অক্টোবর নাগাদ বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভূমিতে প্রবেশ করতে পারে। তবে তত ক্ষণে সেটি দুর্বল হয়ে আবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর জেরে দশমীর সকাল থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। এ ছাড়াও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে। দশমী এবং একাদশীর দিন ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস।