‘বড়মা’কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজির অনুগামীরা। নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা ব্যাধিতে ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় দুটি ফুসফুস আক্রান্ত হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত ৮টা ৫২ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মতুয়া মহাসংঘের ‘বড়মা’ বীণাপানি দেবী।
বুধবার সকাল আটটা নাগাদ ‘বড়মা’র মরদেহ ঠাকুরনগরের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ভক্তরা। বড়মার মৃত্যুর খবর পেয়েই রাত থেকে কাতারে কাতারে ভক্তরা ঠাকুরনগরে হাজির হন। তাঁদের প্রিয় বড়মাকে শেষ বারের জন্য দেখার আশায় এ দিন সকালেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, এমনকি, ভিন্রাজ্য থেকেও বহু ভক্ত এসে ভিড় জমিয়েছেন ঠাকুরনগরে।
শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বড়মার মরদেহ ঠাকুরনগরের বাড়ির নাটমন্দিরে শায়িত রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বড়মার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘২০-২৫ বছর ধরে বড়মার সঙ্গে যোগাযোগ। আমাদের সব রাজনৈতিক সংগ্রামে তাঁর আশীর্বাদ ও সমর্থন পেয়েছি। তাঁর মৃত্যু শুধু মতুয়া সমাজের নয়, আমাদের সকলের কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতি।’’
এসএসকেএম থেকে ‘বড়মা’র মরদেহ নিয়ে ঠাকুরনগরের উদ্দেশে যাত্রা। নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: বৈশাখীর সঙ্গে আবার বৈঠকে কৈলাস-অরবিন্দ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শোভন
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর সুনামি আসছে! সূর্যের মনের কথা জানিয়ে চমক রানাঘাটের কন্যার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বড়মার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। টুইট করে তিনি বলেন, ‘‘বড়মা আমাদের সময়ের এক জন আইকন। বহু মানুষের কাছে তিনি বিরাট শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন। তাঁর উচ্চ মতাদর্শ পরবর্তী প্রজন্মকেও প্রভাবিত করবে। এই দুঃখের সময়ে আমরা মতুয়া সম্প্রদায়ের পাশে আছি।’’