—প্রতীকী ছবি।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক নিরাপত্তারক্ষীর। তবে দুর্ঘটনাস্থল কার এলাকায় পড়ে, রেলপুলিশ ও দুই থানার টানাপড়েনে দশ ঘণ্টা পড়ে রইল দেহ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে পুরুলিয়ায় আদ্রা-গোমো শাখার রুকনি স্টেশনের কাছে রেল সাইডিংয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী, ঝাড়খণ্ডের চন্দনকেয়ারীর বাসিন্দা কালিপ্রসাদ সরাকের (৩৩)। কালিপ্রসাদের সহকর্মী নইমুদ্দিন খালিফা বলেন, “সাইডিংয়ে মালগাড়ি থেকে স্পঞ্জ আয়রন কারখানার জন্য কয়লা নামানো হয়। ভোর ৫টা নাগাদ কালিপ্রসাদ জানায়, মালগাড়ি এসেছে। কয়লা নামানোর কাজ শুরু করতে সাইট অফিসে খবর দিতে। পরে জানতে পারি, পে-লোডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে কালিপ্রসাদের।”
শুরুতে ঘটনাস্থলে যায় পাড়া থানার পুলিশ। তবে তা রেলপুলিশের এক্তিয়ারভুক্ত বলে চলে যায় তারা। পরে পৌঁছয় আদ্রার রেলপুলিশ। দুর্ঘটনা রেললাইনে বা ট্রেনের ধাক্কায় হয়নি যুক্তি দেখিয়ে তারাও চলে যায়। বেলা গড়ায়। শেষমেশ জানা যায়, ঘটনাস্থল রঘুনাথপুর থানায় পড়ে।
পুলিশ দেহ উদ্ধারে গেলে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ দেহটি উদ্ধার করে রঘুনাথপুর থানার পুলিশ। মৃতের আত্মীয় প্রশান্ত মাজির ক্ষোভ, “দুর্ঘটনার পরেই কালিপ্রসাদকে হাসপাতালে পাঠানো গেলে হয়তো বাঁচানো যেত। কার এলাকা, সেই টানাটানিতে সময় গেল।” এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি সাইডিংয়ে থাকা সাইট অফিসের কর্মীরা। পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, “প্রথমে ভাবা হয়েছিল, ঘটনাটি রেলপুলিশের আওতাভুক্ত। ওই স্টেশন রঘুনাথপুর ও পাড়া থানার সীমানায় পড়ায় সমস্যা হয়। পরে রঘুনাথপুর থানা দেহ উদ্ধারে উদ্যোগী হলেও বিক্ষোভে সময় গিয়েছে।”