মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিং সফর বাতিল। তিন দিনের সফরে সোমবারই দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল মমতার। কিন্তু সেই সফর বাতিল করা হয়েছে। নবান্নের তরফে সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সফর বাতিলের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কেন হঠাৎ পূর্বপরিকল্পিত এই সফর বাতিল করা হল, তা জানানো হয়নি।
যদিও নবান্ন সূত্রে মমতার দার্জিলিং সফর বাতিলের বেশ কিছু কারণ উঠে আসছে। মনে করা হচ্ছে, ওড়িশায় দুর্ঘটনা পরিস্থিতিতেই দার্জিলিং সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে বাংলার বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। শনিবার থেকে ক্রমাগত মৃত্যুসংবাদ আসছে এ রাজ্যে। এখনও বহু মৃতদেহ শনাক্ত করা যায়নি। বাংলার অনেকেই এখনও নিখোঁজ। এই পরিস্থিতি শহরে থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চান মমতা। তাই এখনই দার্জিলিং যাচ্ছেন না তিনি।
শুক্রবার রাতে বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে রেল (যদিও ওড়িশা সরকারের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২৭৫)। শনিবার সকালেই কপ্টারে করে বালেশ্বরে পৌঁছে যান মমতা। সেখানে গিয়ে উদ্ধারকাজ-সহ গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন তিনি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথাও বলেন। তার পর সে দিনই ফিরে আসেন কলকাতায়।
নবান্ন সূত্রে খবর, এই ওড়িশার দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই মুখ্যমন্ত্রীর দার্জিলিং সফর আপাতত বাতিল করা হল। তা ছাড়া, রাজ্যে আগামী কয়েক দিন তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস। তা-ও সফর বাতিলের একটি কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনাচক্রে, সোমবারই সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশযাত্রায় বাধা দিয়েছে অভিবাসন দফতর। তাঁর সঙ্গে তাঁর দুই সন্তানও ছিল। তাঁদের বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দর থেকেই সন্তানদের নিয়ে ফিরে যান রুজিরা। অভিবাসন দফতর সূত্রে খবর, ইডির একটি মামলায় অভিষেক-পত্নীর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। সেই কারণেই তাঁকে আটকানো হয়েছে। এ দিকে, অভিষেক নিজে এখন শহরে নেই। তিনি তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রার কর্মসূচিতে ব্যস্ত। সোমবার তাঁর কর্মসূচি আছে হুগলিতে।