— ফাইল ছবি
হলদিবাড়ি থেকে দার্জিলিং মেলের স্টপ তুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। এমনকি, হলদিবাড়ি থেকে ট্রেনের যে দু’টি অতিরিক্ত কামরা যোগ করা হত, সে দু’টিও আর যোগ করা হবে না বলে খবর। জানানো হয়েছে, চলতি বছর ১০ এপ্রিল থেকে দার্জিলিং মেল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকেই ছাড়বে। এ দিকে, হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে ট্রেন চলবে না, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে নামলো বার আসোসিয়েশন-সহ অন্য গণ সংগঠনগুলি। আজ, বুধবার দু’ঘণ্টা ‘পেন ডাউন’ করে রেলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কলকাতার হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ বার আসোসিয়েশন ও জেলা বার আসোসিয়েশন প্রতিবাদে নামল। রেলের সিদ্ধান্ত বদল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে দাবি বার আসোসিয়েশনের। তবে, একনও সিদ্ধান্ত বদল করেনি রেল।
রেলের দাবি, এনজেপি থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ইলেকট্রিক লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু, হলদিবাড়ি ও জলপাইগুড়িতে ইলেকট্রিক লাইনের পরিকাঠামো এখনও হয়নি। তাই এনজেপি থেকে শিয়ালদহ পর্যন্তই দার্জিলিং মেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বার আসোসিয়েশন দাবি, ২০০৪ সালে রেল জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং মেল তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ জলপাইগুড়িবাসী আন্দোলনে নামার পরে ফের দার্জিলিং মেল চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার জেলা আদালত ও সার্কিট বেঞ্চের বার আসোসিয়েশন যৌথ ভাবে বৈঠক করে। জেলা দায়রা আদালতের বার আসোসিয়েশন সহ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘আদালতে দু’ঘণ্টা কর্মবিরতি রেখে শহর জুড়ে মিছিল করে রেলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হবে। এই আন্দোলন চলবে।’’
সার্কিট বেঞ্চের বার আসোসিয়েশন সভাপতি কমলকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগের মতো রুটে দার্জিলিং মেল চালানো হোক, আমরা তা-ই চাই। রেল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ট্রেন চালাতে হলদিবাড়ি পর্যন্ত ইলেকট্রিক লাইনের ব্যবস্থা করা হোক।’’ রেলের সিদ্ধান্ত বদল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি।