সাংবাদিক বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নিজস্ব চিত্র
এফসিআইকে চাল দিতে প্রতিবেশী জেলাগুলি থেকে ধান নেবে দার্জিলিং জেলা খাদ্য দফতর। শুক্রবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন। এফসিআই এবছর ধান কেনেনি। ফলে জেলার মিডডে মিলগুলিতে চাল দিতে তাদের জেলা খাদ্য দফতরের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বলে দাবি। ফলে প্রতিবেশী জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দীনাজপুর জেলা থেকে ৫ কুইন্ট্যাল করে চালের জন্য ধান নেওয়া হবে বলে এদিন তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘এফসিআই ধান কিনছে না। অথচ তাদের চাল দিতে হচ্ছে। মিডডে মিলের ছোট বাচ্ছাদের কথা ভেবে আমরা না করিনি। ফলে অন্য জেলা থেকে চাল কিনতে হচ্ছে দার্জিলিঙকে।’’
এফসিআইয়ের শিলিগুড়ি কেন্দ্র থেকে সিকিম এবং দার্জিলিঙের মিডডে মিলের চাল দেওয়ার কথা। তারা বাইরের রাজ্যগুলি থেকে চাল কিনে তা যোগান দিত। নয়ত জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কিনত। সেই ধানের চাল দিত রাজ্যের খাদ্য দফতর। কিন্তু এবছর এফসিআইয়ের পক্ষ থেকে জেলায় ধান হয়নি। তার পরেও তারা চাল চেয়েছে। রাজ্যের খাদ্য দফতর না দিলেও তাদের যায় আসে না বলে এফসিআইয়ের শিলিগুড়ির এক আধিকারিক জানিয়েছেন। তার দাবি, রাজ্যের খাদ্য দফতর চাল না দিলে তারা বাইরের রাজ্যগুলি থেকে চালের যোগান দেবে।
এ বছর দার্জিলিং জেলায় ৬০ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কেনা হয়েছে মাত্র ২৬২৪৪ মেট্রিকটন। চালের প্রয়োজন ১০ হাজার মেট্রিকটন। বাগান এলাকাগুলিতে চাল লাগে আরও ৬০৫ মেট্রিকটন। লক্ষ্যমাত্রার ধান কিনলে তা দিয়েই প্রয়োজনীয় চালের যোগান দিতে পারে বলে জেলা খাদ্য দফতর এক আধিকারিক জানিয়েছেন। কিন্তু গত বছরও ধান কেনায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি জেলা খাদ্য দফতর। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়েও সংশয় রয়েছে। যে পরিমাণ ধান কেনা হয়েছে তাতে জেলার প্রয়োজনীয় চালও হয় না। ফলে জেলার প্রয়োজনীয় চালের জন্যও প্রতিবেশী জেলাগুলি থেকে ধান কিনতে হবে দার্জিলিঙকে।