West Bengal News

বিধায়কদের দৈনিক ভাতা বেড়ে হল দ্বিগুণ, মন্ত্রীদেরও বাড়ল ৫০ শতাংশ

দৈনিক ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হল। ফলে দৈনিক ভাতা বাবদ মাসে প্রত্যের মন্ত্রীই ৯০ হাজার টাকা করে পাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ১৭:১১
Share:

ভাতা বাড়ল রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের।

বাড়ানো হল মন্ত্রী এবং বিধায়কদের ভাতা। শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন এই ভাতা বৃদ্ধির কথা। মন্ত্রীদের দৈনিক ভাতা ২ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হল ৩ হাজার টাকা। আর বিধায়কদের দৈনিক ভাতা ১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হল ২ হাজার টাকা। তবে কংগ্রেস ও বামেরা এই ঘোষণাকে সর্বাংশে স্বাগত জানায়নি। দৈনিক ভাতা দেওয়ার প্রশ্নে মন্ত্রী এবং বিধায়কদের মধ্যে ফারাক থাকার বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী। আর সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর দাবি, প্রাক্তন বিধায়কদের অনেকেই অর্থকষ্টের মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের বিষয়টি আগে ভাবা জরুরি ছিল।

Advertisement

এত দিন পর্যন্ত যে কাঠামো চালু ছিল, তাতে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক মন্ত্রী (মুখ্যমন্ত্রী, পূর্ণমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী) দিনে ২ হাজার টাকা করে ভাতা পেতেন। অর্থাৎ মাসে পেতেন ৬০ হাজার টাকা। এ বার দৈনিক ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হল। ফলে দৈনিক ভাতা বাবদ মাসে প্রত্যের মন্ত্রীই ৯০ হাজার টাকা করে পাবেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ভাতা নেন না।

যে বিধায়করা মন্ত্রী নন, তাঁদের দৈনিক ভাতার পরিমাণ এত দিন ছিল ১ হাজার টাকা। অর্থাৎ সাধারণ বিধায়করা দৈনিক ভাতা বাবদ মাসে পেতেন ৩০ হাজার টাকা। এ বার থেকে ওই খাতে তাঁরা পাবেন ৬০ হাজার টাকা করে।

Advertisement

তা হলে সব রকমের পাওনা-গণ্ডা মিলিয়ে মাসে কে কত পাচ্ছেন?

বিধায়কদের ক্ষেত্রে অবশ্য এই দৈনিক ভাতা পাওয়ার প্রশ্নে একটি শর্ত রাখা হয়েছে। তা হল, বিধানসভার বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে বিধায়কদের উপস্থিতি। প্রত্যেক মাসে দু’বার অর্থাৎ ১৫ দিনে এক বার স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলি বৈঠকে বসে।ওই বৈঠকগুলিতে উপস্থিত না হলে দৈনিক ভাতায় কোপ পড়বে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: পেট্রোল-ডিজেলে সেস, নির্মলা বললেন, বাজেটের লক্ষ্য ‘গাঁও গরিব কিসান’

আরও পড়ুন: নোটবন্দির ধাক্কা সামলাতে গাঁজা-আফিমের চাষ করছে মাওবাদীরা!

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী জোর দেন প্রাক্তন বিধায়কদের জন্য কিছু করার বিষয়ে। প্রাক্তন বিধায়কদের অনেকেরই অবস্থা অস্বচ্ছল, তাঁদের অনেকেই অর্থকষ্টে রয়েছে, তাঁদের বিষয়ে সরকারের আগে ভাবা উচিত— মত সুজনের।

আর রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল, বেতন বা ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধায়ক ও মন্ত্রীদের মধ্যে সমতা আনা হোক। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী যে ভাতা বৃদ্ধি ঘোষণা করেছেন, তাতে অসাম্যই বহাল রাখা হল বলে মনোজের মত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement