অভিষেকের বাড়ির সামনে দিয়ে গেল ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের পাড়া এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে গেল ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল। বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনের শততম দিনে কলকাতার রাজপথে মিছিলে হাঁটেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল যাওয়া নিয়ে সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। অভিষেকের বাড়ির সামনে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ ছিল। কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই অভিষেকের বাড়ির সামনে দিয়ে এগোল মিছিল। ওই সময় ‘চোর-চোর’ স্লোগান দিতে দেখা গেল আন্দোলনকারীদের।
হরিশ মুখার্জি রোড কলকাতার মানচিত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর রাস্তা। এই চত্বরের কাছেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। আবার এই রাস্তাতেই অভিষেকের বাড়ি। যার নাম ‘শান্তিনিকেতন’। ফলে এই রাস্তা দিয়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতিতে সুশৃঙ্খল ভাবে ওই রাস্তা দিয়ে মিছিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতোই মিছিল করলেন তাঁরা। তবে, অভিষেকের বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল যাওয়া নিয়ে নজর ছিল সব মহলের। অবশেষে সেই রাস্তা দিয়েই মিছিল গেল। আর সেই সময়ই ‘চোর-চোর’ স্লোগান শোনা গেল। শুধু অভিষেকের বাড়ির সামনেই নয়, হাজরা রোড ধরে যাওয়ার সময় অন্যত্রও এই স্লোগান শোনা গিয়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল থেকে। যদিও কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, মিছিল থেকে কোনও কুমন্তব্য করা যাবে না।
ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল ঘিরে হরিশ মুখার্জি রোডে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। নিজস্ব চিত্র।
মিছিল থেকে এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘সব রাস্তায় মিছিল করার অধিকার রয়েছে।’’ হরিশ মুখার্জি রোড ধরে মিছিল প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘কোনও বিতর্ক নেই। স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষের যে কোনও জায়গায় প্রতিবাদ জানানোর অধিকার থাকা উচিত।’’
শনিবার দুপুর ১টায় হাজরা মোড় থেকে মিছিল শুরু করেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এর পরই ধীরে ধীরে হরিশ মুখার্জি রোড ধরে এগোতে থাকে মিছিল। শঙ্খধ্বনি, স্লোগানে মুখরিত ওই এলাকা। হাজরা এলাকায় রাস্তায় রাস্তায় পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর সরকারি কর্মী কলকাতায় মিছিলে যোগ দিয়েছেন।