বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী এবং দেবশ্রী চৈধুরী। -নিজস্ব ছবি।
দুই মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের পাশাপাশি দুই ২৪ পরগণার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলির জন্যও কেন্দ্রের সাহায্য চাইলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইয়াস পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুভেন্দুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর জন্যই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন কি না। সে প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু সাফ জানান, তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বা রাজ্য সরকারের তরফে এ নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তাই কোনও কাল্পনিক প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে চান না। পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, “এখন রাজনীতি করার সময় নয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জেলা পরিদর্শনে ব্যস্ত থাকার জন্য তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়েছেন।“ বৈঠকে হাজির ছিলেন দেবশ্রী চৌধুরীও। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং তাঁর কাছে রাজ্যের প্রয়োজন অনুসারে সাহায্যের আবেদন করেছেন।
শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ খড়গপুরের কলাইকুণ্ডার সেনাঘাঁটিতে চপারে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে আসেন রাজ্যপাল, শুভেন্দু অধিকারী, দেবশ্রী চৌধুরী, সৌমেন মহাপাত্র। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীরও থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কলাইকুণ্ডায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা ভাবে দেখা করে বৈঠক শুরুর আগেই বেরিয়ে আসেন। যদিও বৈঠকে যোগ না দিলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের নথি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠক চলছে। ছবি: টুইটার।
বৈঠকে তাঁর থাকা অনিশ্চিত হযে পড়ে যখন থেকে বৈঠকে শুভেন্দু থাকবেন বলে জানা যায়। শুক্রবার বৈঠক শুরুর ঘণ্টা খানেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণাও করে দেন, তিনি বৈঠকে থাকতে পারবেন না।