প্রস্তুতি তুঙ্গে নিজস্ব চিত্র।
গত বছর ঘূর্ণিঝড় আমপানের পর সুন্দরবন তথা উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে টেলি-যোগযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। ফলে ঝড়ের পর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এবং প্রত্যন্ত এলাকাগুলির সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাই আমপান থেকে শিক্ষা নিয়ে ইয়াস মোকাবিলায় টেলি-যোগাযোগে বিশেষ জোর দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ইয়াস আছড়ে পড়ার আগেই সরকারি ও বেসরকারি টেলিকম সংস্থার দলগুলি প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যাবে সুন্দরবন এবং উপকূলের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে। প্রত্যেক জায়গায় বিডিও-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে দলগুলি। প্রত্যেক জায়গায় থাকবেন টেলিকম সংস্থার প্রযুক্তিবিদরা। পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে তৎক্ষণাৎ কাজ করতে হবে টেলিকম দলকে।
ইতিমধ্যেই বেসরকারি টেলিকম সংস্থার ১৫টি দল পৌঁছে গিয়েছে সুন্দরবন উপকূলের দ্বীপ ও প্রত্যন্ত এলাকায়। দুর্গত এলাকার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক এবং কুইক রেসপন্স টিমের কাছে দেওয়া হবে স্যাটেলাইট ফোন। কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের কাছে থাকবে আরটি মোবাইল। যার সাহায্যে তাঁরা যে কোনও প্রয়োজনে মহকুমা শাসকের দফতরে চালু হওয়া কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ রাখতে পারবেন।
অন্য দিকে, ‘হ্যাম রেডিও’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকেও কাজে লাগাতে চাইছে জেলা প্রশাসন। ঝড়ের সময় কোনও ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে গেলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘আমপানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ বার অন্যান্য ব্যবস্থা তৈরি রাখার পাশাপাশি টেলি-কমিউনিকেশনে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।’’