গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সোমবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়েছিল যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, ৬৩ ঘণ্টার জীবনচক্র পেরিয়ে বুধবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১১টায় তা শেষ হল। বুধবার সকালে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর থেকে ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ইয়াস। মৌসম ভবন জানিয়েছে, শক্তি ক্ষয় করতে করতে বুধবার রাতেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ফের অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গিয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে শুরু হওয়া নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে সোমবার সকালে পরিণত হয়েছিল ঘূর্ণিঝড়ে। নাম আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। ইয়াস। তার পর থেকে ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে প্রথমে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও তার পর অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় ইয়াস। বুধবার সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের দক্ষিণে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণিঝড়।
স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর। ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে ইয়াস। বুধবার রাতে শক্তি হারিয়ে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন।
প্রাথমিক ভাবে পূর্বাভাস ছিল, পশ্চিমবঙ্গ ছুঁয়ে যাবে ইয়াস। মঙ্গলবার বিকেলেই পূর্বাভাস বদলায়। শেষ পর্যন্ত গতিপথ এ রাজ্য থেকে আরও দূরে সরে ওড়িশার মধ্যে দিয়ে যায়। বুধবার সকালে ইয়াস আছড়ে পড়ে বালেশ্বরের কাছে ধামরায়।