Cyclone Bulbul

কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি চলবে, কন্ট্রোল রুম থেকে তিন জেলায় নজর রাখছেন মমতা

বুলবুলের মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন ইতিমধ্যেই উপকূল এলাকা থেকে প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনার ত্রাণকেন্দ্রে মজুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত খাবারও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:২৪
Share:

বুলবুল-এর প্রভাবে কলকাতায় প্রবল বৃষ্টি। নিজস্ব চিত্র

পূর্ব মেদিনীপুর আর দুই ২৪ পরগনায় ঝাপটা মেরে চলেছে দুর্যোগ। রাতে আরও খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি। বিশেষত সুন্দরবন এবং সংলগ্ল উপকূল এলাকা নিয়েই সবচেয়ে বেশি চিন্তা প্রশাসনের। কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি যেমন চলছে, কাল পর্যন্ত তেমনই চলবে বলে আবহাওয়া অফিসের খবর।

Advertisement

বুলবুলের মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন ইতিমধ্যেই উপকূল এলাকা থেকে প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনার ত্রাণকেন্দ্রে মজুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত খাবারও।

শুক্রবার থেকেই নবান্নে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই কন্ট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিচ্ছেন জেলা প্রশাসনকে। মমতা এ দিন টুইট করে জানান, সমস্ত ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে প্রশাসন। সতর্ক রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের সাতকাহন

বুলবুলের কারণে এ দিন বিকেল ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত দমদম বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ক্রমশই বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ বাড়ছে। সাগরদ্বীপ, সুন্দরবনের অনেক কাছে চলে এসেছে বুলবুল।

সে কারণে কলকাতাতেও বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে হাওয়াও বইছে। এ দিন সকালে ঝোড় হাওয়ার জেরে দক্ষিণ কলকাতায় বালিগঞ্জের একটি অভিযাত ক্লাবে গাছ ভেঙে মৃত্যু হয় এক কর্মীর। মৃতের নাম শেখ সোহেল (২৮)। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ দমকা হাওয়ায় একটি দেবদারু গাছ উপড়ে যায়। ওই সময় সোহেল গাছের নীচ দিয়ে যাচ্ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: বুলবুলের দাপটে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস, ঝড়-বৃষ্টি-লোডশেডিংয়ের সঙ্গে লড়ছে পর্যটকশূন্য দিঘা

রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভাতেও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানে থেকে তদারকি করছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ দিন সকাল থেকে এক নাগারে বৃষ্টি হওয়ায় শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জল জমে গিয়েছে। পাম্পিং স্টেশনগুলির সাহায্যে জল নামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পুর কর্মীরা। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে নদীতে ফেরি চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement