প্রতীকী ছবি।
বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। রবিবার সকালে মৌসম ভবন জানিয়েছে, আন্দামানের কাছে থাকা গভীর নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে এবং তা প্রতি ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বরাবর উপকূলের দিকে।
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই, সে কথা আগেই জানিয়েছিল মৌসম ভবন। রবিবারও তারা জানিয়েছে, আপাতত সদ্য তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি পুরী থেকে ১,০৩০ কিলোমিটার এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। মঙ্গলবার নাগাদ ওড়িশা কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল ছুঁতে পারে ‘অশনি’। কিন্তু বাংলায় কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আগাম সতর্কতা জারি করেছে নবান্ন।
‘অশনি’র জেরে হওয়া বৃষ্টি কৃষিজমি এবং ফসল নষ্ট করতে পারে, এই আশঙ্কায় কৃষকদের জন্য ছ’দফা সতর্কতা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ‘অশনি’র জেরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ১০-১৩ মে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। সে কথা মাথায় রেখেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কৃষকদের সতর্ক করা হয়েছে।
নবান্ন থেকে ধানচাষিদের বলা হয়েছে পাকা ধান কেটে গুদামজাত করতে। পাশাপাশি, সবজি, তেল তৈরি হয়, এমন ফসল এবং ডাল চাষের জমি থেকে জমা জল দ্রুত বের করার ব্যবস্থা তৈরি করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও আখ, পেঁপে, কলা জাতীয় যে সমস্ত ফলের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা নিয়েও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে নবান্ন।