বুধবার সন্ধ্যায় দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া উপদ্বীপের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড় আমপান (প্রকৃত নাম ‘উম পুন’)। আবহাওয়াবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন বা মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়। ঝড় চলাকালীন এবং ঝড় থেমে গেলে কী কী করবেন বা কী করবেন না, দেখে নিন এক ঝলকে।
ঝড় শুরু হলে বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগের মেন সুইচ এবং গ্যাসের সংযোগের সুইচ বন্ধ করে দিন।
বাড়ির সব দরজা জানালা বন্ধ রাখুন।
ঝড়ের ফলে বিচ্ছিন্ন হতে পারে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ফলে আগে থেকেই মোবাইলে যথেষ্ট চার্জ দিয়ে রাখুন।
বাড়িতে ধারালো কোনও জিনিস খোলা অবস্থায় থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। ঝড়ের মধ্যে বাড়িতে কোনও ধারালো জিনিস উন্মুক্ত রাখবেন না।
বাঁধনমুক্ত করুন পোষ্যদের। যাতে বিপদ বুঝলে ওরাও নিরাপদ স্থানে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে যদি কোনও ভাবে বাড়ির বাইরে থাকেন, খোলা রাস্তায় বা গাছের নীচে দাঁড়াবেন না।
বাড়ির বাইরে থাকলে ঝড় শুরু হলে দ্রুত আশ্রয় নিন।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত বা জীর্ণ পাকা বাড়ি এবং কাঁচা বাড়িতে আশ্রয় নেবেন না।
বিপদ বুঝে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ আশ্রয় বা পাকা বাড়ি খুঁজে নিন।
সতর্ক থাকুন ভেঙে পড়া বৈদ্যুতিক স্তম্ভ ও তার ধারালো অংশের ব্যাপারে।
ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতার মধ্যেও সতর্ক থাকুন করোনাভাইরাস নিয়ে।
মাস্ক পরতে এবং বার বার সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
যদি দুর্যোগের পরে কোনও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র বা অন্যান্য সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হয়, সেখানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে বিভিন্ন সংক্রামক অসুখ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই চেষ্টা করুন পরিস্রুত জল পান করতে।